আরও পড়ুনঃ ৯ টাকার এই পেনে কী আছে এমন! লিখলেই যেন মুক্ত ঝরে! লেখা তো নয়, হার মানবে ছাপার অক্ষরও
নিখোঁজ মহিলার স্বামীকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হল কেন? এর পিছনে রয়েছে সার্চ হিস্ট্রি আর কয়েক ফোঁটা রক্ত। যা টানটান গোয়েন্দা গল্পকেও হার মানাবে। নরেশের বাড়িতে তল্লাশির সময় কয়েক ফোঁটা রক্ত দেখতে পায় পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষায় এই রক্ত মমতা ভাটের বলেই জানা গিয়েছে।
advertisement
এরপর সামনে আসে নরেশের ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সার্চ হিস্ট্রি। গোয়েন্দারা দেখেন নরেশ দুটো জিনিস গুগলে সবচেয়ে বেশিবার সার্চ করেছেন। এক, “স্ত্রীর মৃত্যুর কতদিন পর ফের বিয়ে করা যায়?” দুই, “মৃত স্ত্রীর দেনা কি স্বামীর ঘাড়ে চাপে?” হত্যার স্বপক্ষে এই দুটি সার্চ হিস্ট্রিকেই ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ’ হিসেবে পেশ করে পুলিশ।
মমতার বয়স ২৮ বছর। পেশায় নার্স। জুলাই মাসে তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। তারপর আচমকা উধাও হয়ে যান। স্থানীয় পুলিশ এবং মমতার পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোনও হদিশ মেলেনি। নরেশের বাড়িতে তল্লাশির সময় কয়েক ফোঁটা রক্ত পান তদন্তকারীরা। সেটা মমতার ডিএনএ-এর সঙ্গে মিলে যায়।
আরও পড়ুনঃ সাবধান…! কোনও ভাবেই এঁরা মুখে তুলবেন না মিষ্টি আলু! শরীরে গেলেই মারাত্মক ক্ষতি!
এরপরই নরেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে মৃতদেহ লুকনোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর নরেশের কম্পিউটার খুঁটিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তখনই এই সার্চ হিস্ট্রি সামনে আসে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা এবং মৃতদেহ অবমাননার অভিযোগ যোগ করা হয়।
প্রিন্স উইলিয়াম কাউন্টি পুলিশের প্রধান মারিও লুগো বলেন, “প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিল যে মমতাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের হাতে কোনও প্রমাণ ছিল না।” এরপর ডিএনএ রিপোর্ট এবং নরেশের অনলাইন সার্চ হিস্ট্রির খবর জানান তিনি। দাবি করেন, এই দুটো প্রমাণই নরেশের বিরুদ্ধে গিয়েছে।
দেহ না মেলায় তদন্ত চালাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানান মারিও লুগো। তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফরেনসিক এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। পরোক্ষ প্রমাণও মামলায় বড় ভূমিকা নিতে পারে। নরেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এখনও মমতার দেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। অতিরিক্ত প্রমাণ সংগ্রহের কাজও চলছে।