#হরিদ্বার: ছেলে-মেয়েকে বড় করেছেন সারা জীবনের সঞ্চয় ব্যয় করে। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে কাটাতে হচ্ছে একাকী জীবন। নাতি-নাতনিরা খেলে বেড়াচ্ছে না তাঁদের সঙ্গে। তাই পুত্র আর পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন হরিদ্বারের প্রবীণ দম্পতি। না, ছেলে বা ছেলের বউ তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, এমন অভিযোগ করেননি দম্পতি। বরং তাঁদের অভিযোগ, সন্তানের জন্ম দিতে অনিচ্ছুক তাঁদের ছেলে ও বৌমা। তাই তাঁরা বিচার চান (Viral News)।
advertisement
হরিদ্বারের এসইজে এসডি তৃতীয় (SEJ SD 3rd) আদালতে এই বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সঞ্জীবরঞ্জন প্রসাদ এক সময়ে BHEL-এর পদস্থ আধিকারিক ছিলেন। তাঁর এক ছেলে। অবসর নেওয়ার পর সঞ্জীব ও তাঁর স্ত্রী সাধনা হরিদ্বারের একটি আবাসনে থাকেন।
আরও পড়ুন-দেশি মদ খেয়েও চড়েনি নেশা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে সটান নালিশ ঠুকলেন মধ্যপ্রদেশের এক মদ্যপ!
তাঁদের অভিযোগ, আর্থিক ভাবে যথেষ্ট সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের পুত্র ও পুত্রবধূ তাঁদের জীবনে কোনও সন্তান চান না। সঞ্জীবের আইনজীবী অরবিন্দকুমার শ্রীবাস্তব জানান, প্রবীণ দম্পতির ছেলে শ্রেয় সাগর বিমানসংস্থায় কাজ করেন। ২০১৬ সালে শ্রেয় বিয়ে করেন নয়ডার বাসিন্দা শুভাঙ্গী সিংহকে। সঞ্জীব-সাধনার দাবি, বিয়ের পর ৬ বছর কেটে গিয়েছে, কিন্তু ছেলে ও বৌমা সন্তানের জন্ম দিতে চান না। এ দিকে বৃদ্ধ দম্পতি চরম একাকিত্বে ভুগছেন। এ নিয়ে বৃদ্ধ বয়সে তাঁদের মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। সঞ্জীব আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন-১০০ বছর বেঁচে থাকেন অনেকেই, রহস্য এবার আপনার হাতের মুঠোয়, জানাচ্ছেন খোদ দীর্ঘায়ুরাই !
তাঁর দাবি, ছেলের লালন-পালন ও শিক্ষায় তিনি সারা জীবনের সঞ্চয় ব্যয় করেছেন। ছেলে যদি বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মায়ের সুখের কথা না ভাবে, নাতি-নাতনির মুখ যদি তাঁরা দেখতেই না পান, তা হলে শ্রেয় যেন তাঁর ৫ কোটি টাকা ফেরত দেন। এ টাকা তিনি শ্রেয়র শিক্ষা-দীক্ষা এবং লালন-পালনে ব্যয় করেছিলেন বলে দাবি। আদালতে আইনজীবী দাবি করেন, ছেলেকে উপযুক্ত করে তৈরি করার পরও যদি বাবা মায়ের মানসিক অবস্থা এমন হয় তবে তা অত্যাচারেরই শামিল।
এ দিকে ভারতবর্ষে তরুণ দম্পতিদের মধ্যে সন্তান জন্মদানের ইচ্ছে কমছে বলেই মনে করছে সাম্প্রতিক গবেষণা। বৃদ্ধ দম্পতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৭ মে তারিখ ধার্য করা হয়েছে।