জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সুদূর (Africa) আফ্রিকায়। আফ্রিকার তিউনিসিয়া (Tunisia) প্রদেশের বছর ৪৫ বয়সের ওই মহিলা তার গোপনাঙ্গে মারাত্মক ব্যাথা অনুভব করছিলেন। পাশাপাশি ওই মহিলার গোপনাঙ্গ থেকে অতিমাত্রায় রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। শরীরে মারাত্মক জ্বালা-যন্ত্রণা নিয়ে ওই মহিলা চিকিৎসকের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন। এরপর ওই মহিলার চিকিৎসা শুরু করে প্রথম অবস্থায় নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করেন যে, ওই মহিলার মূত্রাশয়ে পাথর জমেছে। তারপরেই ওই মহিলার গোপনাঙ্গে অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নেন তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স শহরের হাবিব বুরগুইবা ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের কয়েক জন শল্য ও প্রসূতি চিকিৎসকরা। সেই মতো হাসপাতালে ভর্তির কয়েকদিনের মধ্যেই ওই মহিলার গোপনাঙ্গে অস্ত্রপচার করেন চিকিৎসকরা।
advertisement
আরও পড়ুন-আপনি কি ঘুম থেকে বঞ্চিত? অবিলম্বে চিকিৎসা করা প্রয়োজন
নিয়মমাফিক ওই মহিলার শরীরে অস্ত্র পচারের পর অবশেষে তার গোপনাঙ্গের ভিতর লুকিয়ে থাকা অদ্ভুত বস্তুটিকে বার করতে সমর্থ হন চিকিৎসকরা। ওই মহিলার গোপনাঙ্গ থেকে বার হওয়া বস্তুটিকে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা লক্ষ্য করেন সেটি পাথর না। ওই বস্তুটি ছিল আসলে আস্ত কাচের গ্লাস। যা মহিলার গোপনাঙ্গে আটকে ছিল। তার জন্যই ওই মহিলা তার গোপনাঙ্গে মারাত্মক ব্যাথা অনুভব করছিলেন। তাঁর শরীর থেকে অতিমাত্রায় রক্তক্ষরণের কারণও গোপনাঙ্গে আটকে থাকা ওই কাচের গ্লাস।
কিন্তু কী ভাবে ওই মহিলার শরীরে প্রবেশ করল আস্ত কাচের গ্লাস! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অনুসন্ধান। প্রাথমিক তথ্যে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে ওই মহিলা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। ওই সময় তার গোপনাঙ্গে কাচের গ্লাসটি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। তবে অস্ত্রোপচারের মাত্র দু’দিন পর ওই মহিলাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।