এছাড়াও সমুদ্রের বুকে ভেসে যেতে যেতে নানান রহস্যময় ঘটনাও তাঁদের চোখে পড়ে। সমুদ্রের বুকে ভেসে বেড়ানো বৃহদাকার দৈত্যের মতো মাছ, সমুদ্রের অনেক গভীর থেকে ভেসে আসা তীক্ষ্ণ হুঙ্কার, কখনও আবার একেবারে অচেনা আকারের সামুদ্রিক প্রাণার সাক্ষাৎ- সমুদ্রে মাছ ধরা জেলেদের জীবন যেমন অ্যাডভেঞ্চারাস, তেমনই বিপদসঙ্কুল।
আরও পড়ুন-সম্পূর্ণ নতুন দেশ প্রতিষ্ঠা! দুই যুবকের উদ্যোগ মেনে নতুন দেশের মালিক হতে পারেন আপনিও
advertisement
কিছু দিন আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া একদল জেলেরা এমনই এক ভয়ঙ্কর মাছের সাক্ষাৎ পান। আশ্চর্যের বিষয় হল আকারে সাধারণ হলেও এই মাছের বিশেষত্ব এর চেহারায়। একেবারে হুবহু মানুষের মতো এই মাছটি দেখেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলে-সমাজে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। খুব সম্প্রতি, অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার জেলেরা মানুষের চেহারার মতো একটি মাছের সাক্ষাৎ পান। হুবহু মানুষের প্রতিমূর্তির মতো কোনও মাছ দেখতে পেয়ে যারপরনাই অবাক হয়ে গিয়েছেন ওই জেলেরা। ওই মাছের এমন বিকট রূপ দেখে আশপাশের গ্রামের স্থানীয় জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে চারপাশের গ্রামে এ খবর ছড়িয়ে দেন। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মাঝিপাড়া।
আরও পড়ুন-গরম ভাতের পাতে অল্প মাখন হলেই জমে যায় খাওয়াদাওয়া! কিন্তু রোজ খাওয়া কি নিরাপদ?
গ্রামবাসীদের এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা জানান যে, জীবদ্দশায় এমন অদ্ভুত প্রজাতির মাছ কখনও কেউ দেখেননি। পাশাপাশি, ওই গ্রামের কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন যে মাছটি আদৌ শান্ত প্রজাতির নয়। এটি বরং অধিকমাত্রায় বিপজ্জনক এবং যে কোনও মানুষকে হত্যা করতে পারে। একে সাধারণত বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে যেমন ‘বেলুন ফিশ’, ‘পাফার ফিশ’, আবার কেউ কেউ এর শক্তি ও আকার দেখে একে ‘গ্লোব ফিশ’-ও বলে থাকেন। এর বিজ্ঞান সম্মত নাম ‘টেট্রাওডন’ (Tetraodon)। এই মাছটি খাওয়াও নিষেধ কেন না এর শরীরে তীব্র বিষ থাকে।
জাপানে শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত শেফরাই এই মাছ রান্না করেন। তাঁরা এর শরীরের ওপরে থাকা টক্সিক অংশটি সরিয়ে একে বিষমুক্ত করে তবেই রান্না করেন। জাপানি সরকার এই মাছটি খাওয়া নিষিদ্ধ করে দিলেও সংস্কারবশে জাপানের মানুষ আজও এই মাছটি গোপনে খান বলে শোনা যায়।