সোমবার ওড়িশার (Odisha) পুলিশ সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ৫৪ বছরের সেই ব্যক্তি বিভিন্ন নামে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। রমেশ চন্দ্র সোয়াইন (Ramesh Chandra Swain) নামের সেই ব্যক্তি ভুবনেশ্বরে (Bhubaneswar) সিনিয়র সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট অফিসিয়াল এবং ডাক্তার রূপে নিজের পরিচয় দিলেও প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি করে চলেছেন কুকর্ম। পরিচয় গোপন করে প্রায় ১৪ জন মহিলাকে তিনি বিয়ে করেছেন। পুলিশ প্রথমে ১৪ জন মহিলাকে খুঁজে পেলেও পরে আরও ৪ জন মহিলার হদিশ পায় (Fake doctor married 18 women)।
advertisement
শেষ ৪ জন মহিলার মধ্যে একজন হলেন কেরল সরকারের সিনিয়র অফিসিয়াল, একজন হলেন গুয়াহাটির ডাক্তার, একজন হলেন ভিলাইয়ের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট এবং আরেকজন ওড়িশার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে যে, সেই ৫৪ বছরের ব্যক্তি যাঁদের বিয়ে করেছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই হলেন মধ্যবয়স্ক মহিলা। এঁদের মধ্যে প্রায় সকলেই ভাল ভাবে জীবনে প্রতিষ্ঠিত এবং ভাল জায়গায় কর্মরত। এঁরা প্রায় সকলেই সেই ৫৪ বছরের ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন (Fake doctor married 18 women)।
আরও পড়ুন-Viral News: বিষাক্ত সাপ ! তাও আবার যাত্রীবোঝাই বিমানে, তার পর যা হল...
সেই ৫৪ বছরের ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই ব্যক্তি একজনের কাছ থেকে প্রায় ১৮ লাখ টাকা নিয়েছেন তাঁর ছেলেকে এমবিবিএসের সিট দেওয়ার নাম করে। এছাড়াও সেই ব্যক্তি নকল ডকুমেন্ট জমা দিয়ে ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। পুলিশ সেই ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি প্যান কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে। সেই দুটি প্যান কার্ড রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানার জন্য।
৫৪ বছরের ব্যক্তির এই কুকর্ম প্রকাশ্যে আসে, যখন একজন মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল মামলা দায়ের করেন পুলিশ স্টেশনে। সেই মহিলা জানতে পারেন যে সেই ব্যক্তি তার আসল পরিচয় লুকিয়ে রেখে তাঁকে বিয়ে করেছেন। সেই ব্যক্তি এমন কাজ অনেক মহিলার সঙ্গেই করেছেন এবং তাঁদের টাকা-পয়সা লুঠ করেছেন। এর পরেই পুলিশ সেই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে এবং সামনে আসতে থাকে তার বিভিন্ন ধরনের কুকর্মের নমুনা।