হ্যারি ডিপ্রেশন এবং গুরুতর সোশ্যাল অ্যাংক্সাইটিতে ভুগছিলেন এবং তিনি জানিয়েছেন তাঁর ‘মুক্তমনা’ দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে প্রস্রাব থেরাপি করাতে প্ররোচিত করে। হ্যারির দাবি, তিনি নিজেই নিজের এই চিকিৎসা শুরু করার পরপরই তাঁর ডিপ্রেশন কেটে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ৯ লাখের বিড়াল, ৫২ লাখের ঘোড়া! জ্যাকলিনকে কী কী 'উপহার' দিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর?
advertisement
“যে মুহূর্ত থেকে আমি প্রস্রাব পান শুরু করেছি, আমার মস্তিষ্ক পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং আমার ডিপ্রেশন দূর হয়েছে,” বলেন হ্যারি। হ্যারি জানিয়েছেন, আগের থেকে তিনি আরও শান্ত বোধ করেন এবং এই ‘টনিক’ খাওয়ার পরেই জীবনে শান্তির অনুভূতি খুঁজে পেয়েছেন তিনি। বিনামূল্যে এমন ‘টনিক’ তাঁকে সবসময় ‘সুখী’ রাখতে পারে বলে ভীষণই আনন্দিত তিনি।
হ্যারি জানিয়েছেন, প্রস্রাব থেরাপি শুধুমাত্র মানসিক সুস্থতাই বাড়ায়নি, প্রস্রাব পান এবং নিজের মুখে প্রস্রাব ঘষার ফলে তাঁকে আরও কম বয়সী দেখায়। “আমার ত্বক তরুণ, নরম এবং উজ্জ্বল হয়েছে,” জানান হ্যারি। তাঁর ব্যাখ্যা, বাসি প্রস্রাব ত্বককে নরম করে এবং তারুণ্য বজায় রাখে। হ্যারি অন্য যেকোনও স্কিনকেয়ার পণ্যের চেয়ে নিজের প্রস্রাবকেই ত্বকের যত্নে এগিয়ে রাখেন।
এর স্বাদ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, হ্যারি জানান, তাজা প্রস্রাবের সেরকম কোনও স্বাদ নেই, কিন্তু বাসি প্রস্রাবের গন্ধ ঝাঁঝালো হয় এবং স্বাদও ‘পরিমার্জিত’ হয়। হ্যারি কিন্তু বাসি প্রস্রাবের স্বাদই উপভোগ করেন এবং এই প্রস্রাব খেয়ে অস্বাভাবিক রকমের আনন্দ পান তিনি।
আরও পড়ুন- বাড়িতে জিনিস দিতে আসা ডেলিভারি গার্লকে দেখে অবাক? মাতৃদিবসে এভাবেই ভাইরাল আমাজন!
হ্যারির দৈনন্দিন রুটিনে এক মাস ধরে নিজের প্রস্রাব পান করা এখন নিয়মিত। হ্যারির মতে, প্রতিদিনের প্রস্রাব থেরাপি তাঁর “অনন্ত যৌবনের গোপন” রহস্য এবং এই প্রস্রাব তাঁর জীবনকে আমূল বদলে দিয়েছে।
প্রস্রাব পান হ্যারির স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করেছে ঠিকই, তবে ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলেছে। হ্যারি জানিয়েছেন, তাঁর বাবা-মা কখনই তার এই অস্বাভাবিক অভ্যাসকে অনুমোদন দেননি, তাঁর বোনও সম্ভবত একই কারণে হ্যারির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।