ছেলের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন এক মহিলা। রীতিমতো ধূমধাম করেই আয়োজন করা হয়েছিল। বর-কনে প্রস্তুত, অতিথি আপ্যায়নের জন্য প্রস্তুত লোভনীয় নানা পদ। সারা হয়ে গিয়েছিল সাজসজ্জার কাজও। অপেক্ষা করছিলেন সকলে। কিন্তু কোথায় কী! একজন অতিথিরও দেখা মেলেনি। ডাঁই হয়ে পড়ে থেকেছে খাবার-দাবার। অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন কনে।
কিন্তু কী এমন ঘটল যে বিয়েতে একজন নিমন্ত্রিতও এলেন না! তবে কি এটা সামাজিক বয়কটের ঘটনা!
advertisement
আরও পড়ুন-নেট রান রেটে অনেকটাই পিছিয়ে; সেমি-ফাইনাল কি অধরাই থাকবে পাক দলের?
খানিকটা তাই। তবে কারণ বড় অদ্ভুত।
আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে আলোচনা চলছে জোরদার। তবে এটা ভারতের কোনও পরিবারের ঘটনা নয়। বরং ঘটনাটি ঘটেছে চিনে।
জানা গিয়েছে, চিনের ওই বিয়েতে গ্রামের প্রায় এক হাজার মানুষকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে আসেননি একজনও।
আসলে বাঙালি পরিবারেও এমন ঘটনা ঘটে। কোনও একজন সদস্য অন্য সদস্যের বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ না দিলে, তিনিও ওই সদস্যের কোনও অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গররাজি হন। এমন হয়তো সব পরিবারেই দেখা যায়। কিন্তু একসঙ্গে একহাজার অতিথি নিমন্ত্রণ বয়কট করবেন, এতখানিও ঘটে না।
চিনের গণমাধ্যম HK01-এ প্রকাশিত হয়েছে এই অদ্ভুত ঘটনার ছবি। খালি মাঠে জড়ো করে রাখা চেয়ার টেবিল। সুন্দরভাবে সাজানো বিবাহ বাসর। কিন্তু একজন অতিথিও নেই।
আরও পড়ুন– ‘পিকাসো’-র আঁকা ছবিতেই লুকিয়ে মৃত্যু-রহস্য; মোশন পোস্টারে দেখা মিলল টোটার
আসলে জানা গিয়েছে ওই যুবক ও তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের বাইরে বাস করেন। প্রায় কারও সঙ্গেই তেমন যোগাযোগ রেখে চলেন না। হঠাৎ তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন বিবাহের আয়োজন করবেন পৈতৃক ভিটেয়। ফলে গ্রামের সকলকে নিমন্ত্রণও করেন। তবে তাঁদের কোনও কার্ড দেওয়া হয়নি। শুধু মুখেই নিমন্ত্রণ করে আসেন তাঁরা। তা বলে আপ্যায়নে ত্রুটি ছিল না। অতিথি সৎকারের ব্যাপক আয়োজন করা হয়।
কেউ এলেন না কেন?
কারণ জানতে বেরলেন বরের মা। তিনি জানতে পারেন, যেহেতু তাঁরা এর আগে গ্রামের কোনও পরিবারের অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। তাই তাঁদের অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে নারাজ অন্য পরিবারের সদস্যরা। এটা একপ্রকার সামাজিক বয়কটই।
ওই মহিলা দাবি করেছেন, এই বিয়েতে তাঁদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বহু দামি খাবার নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া, মানহানিও ঘটেছে।