বোনের সঙ্গে মজা করে দেখাতে গিয়েছিলেন, কী ভাবে আত্মহত্যা করতে হয়। বারবার বোনের নিষেধ সত্ত্বেও কথা শোনেননি ওই ব্যক্তি। এর পর তিনি নিজেই তাঁর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু নিছক মজা করতে করতেই হঠাৎই চেয়ারটা পা ফসকে নীচে পড়ে যায়। এই ঘটনায় হতবাক হয়ে ওই ব্যক্তির বোন তৎক্ষণাৎ তার প্রতিবেশীদের ডাকেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। অনেকেই দেওয়াল বেয়ে উপরে উঠে যান, তার পর ঘরে ঢুকে দেখেন, ততক্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন ওই যুবক।
advertisement
হ্যাঁ! এরকমই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে ছত্তিশগড়ের যশপুর জেলায়। ওই জেলার পাঠালগাঁও থানা এলাকার বিলাইটাঙ্গার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রিজওয়ান খানের মৃত্যু হয়েছে ফাঁসিতে ঝুলে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই শোচনীয় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই যুবকটি তাঁদের পরিবারের পাঁচ বোনের একমাত্র আদরের ভাই ছিল। ঘটনার খবর পেয়ে পাঠালগাঁও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে যে, বুধবার রাত ৯টার দিকে রিজওয়ান তার বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের বাসস্টপে নামিয়ে দিয়ে রায়পুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।
গভীর রাতে ভিডিও কল
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, বাড়ি ফেরার পর রাত ১১টার দিকে রিজওয়ান তাঁর এক বোনকে ভিডিও কল করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলেন। এর পর আত্মহত্যা নিয়ে নিছক মজা করতে গিয়ে হঠাৎই তাঁর পায়ের নীচে রাখা চেয়ার ছিটকে পড়ে যায়। এখানে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা অর্ধেক পথেই যশপুরে ফিরে আসেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পরে শেষকৃত্যের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে। মামলায় রিজওয়ানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিজওয়ানের একমাত্র বোন, যিনি ভিডিও কলে নিজের ভাইয়ের মৃত্যু সামনে থেকে দেখেছেন।
