TRENDING:

Viral News: হাঙর কামড়ে ধরেছিল পা, রীতিমতো রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে প্রাণে বাঁচল সাহসী বালক!

Last Updated:

আর রুদ্ধশ্বাস এই ঘটনার সাক্ষী থাকল সৈকতে উপস্থিত মানুষজন! ওই বালকের সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই (Viral News)!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বাবার সঙ্গে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে নেমেছিল বছর আটেকের এক নাবালক। কিন্তু জলকেলির আনন্দই যে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে তা বুঝতে পারেনি তারা। হাঙরের আক্রমণের মুখে পড়ে রীতিমতো লড়াই করে হাঙরের (Shark) মুখ থেকে বেঁচে ফিরল ওই নাবালক। আর রুদ্ধশ্বাস এই ঘটনার সাক্ষী থাকল সৈকতে উপস্থিত মানুষজন! ওই বালকের সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই (Viral News)!
হাঙর কামড়ে ধরেছিল পা, রীতিমতো রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে প্রাণে বাঁচল সাহসী বালক!
হাঙর কামড়ে ধরেছিল পা, রীতিমতো রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে প্রাণে বাঁচল সাহসী বালক!
advertisement

ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?

আসলে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে কার-না ভাল লাগে! তবে সমুদ্র এবং সৈকতে পদে পদে ওঁত পেতে থাকে বিপদ। এমনকী, সেই বিপদ প্রাণঘাতী পর্যন্ত হয়ে উঠতে পারে। এটাই হয় তো বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। ওই বালকের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছিল। নাপাত চৈয়ারক ক্রিস্টেনকো (Napat Chaiyarak Christenko) নামে বছর আটেকের বালক দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ফুকেত দ্বীপে সাঁতার কাটছিল। সঙ্গে ছিল তার ইউক্রেনীয় বাবাও। জলকেলি উপভোগ করার সময় আচমকাই যন্ত্রণায় কঁকিয়ে ওঠে নাপাত। এর পরেই বুঝতে পারে পা কামড়ে ধরেছে কোনও অদৃশ্য শত্রু। নাপাত জানিয়েছে, যন্ত্রণা হলেও মাথা ঠান্ডা রেখে জলের মধ্যেই পা ছুড়তে শুরু করে সে। তাতেও কাজ না-হওয়ায় সোজা জলের নিচে নেমে গিয়ে অদৃশ্য শত্রুর মাথায় কয়েকটা ঘুষি চালিয়ে দেয় সাহসী নাপাত। এর পর তার বাবা-মা তাকে জল থেকে তোলে। দেখা যায়, নাপাতের ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ থেকে রক্ত ঝরছে। এর পরেই ব্যাঙ্কক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

advertisement

আরও পড়ুন-মাত্র ১৬ বছর বয়সেই আত্মঘাতী এই রিয়ালিটি শো তারকা !

সেখানকার চিকিৎসকদের কাছে নাপাত জানিয়েছে যে, “জীবনের সবথেকে যন্ত্রণাদায়ক ছিল ওই মুহূর্তটা।” সে আরও বলে, “পায়ে আচমকাই একটা ব্যথা অনুভব করি। তার পরে জলের নিচে তাকিয়ে দেখি, আমার পা কামড়ে ধরেছে একটা হাঙর। এটা সবথেকে যন্ত্রণাদায়ক ছিল। কামড় থেকে বাঁচতেই আমি ওই হাঙরটার মাথায় কয়েকটা ঘুষি কষিয়ে দিই।”

advertisement

চিকিৎসকরা অবশ্য প্রথমে ভেবেছিলেন, ব্যারাকুডা (Barracuda) অথবা সি-পাইক (Sea Pike) গোছের কোনও মাছ কামড়েছে ওই নাবালককে। কিন্তু পরে জানা যায়, নাপাতকে কামড়েছে ব্ল্যাকটিপ রিফ শার্ক (Blacktip Reef Shark) অথবা বুল শার্ক (Bull Shark)। আর আন্দামান সাগরে হামেশাই এই দুই ধরনের হাঙরের দেখা পাওয়া যায়। ফুকেত মেরিন বায়োলজিক্যাল সেন্টারের (Phuket Marine Biological Center) তরফে জানানো হয়েছে, এখন হাঙরদের প্রজননের সময়। আর বাচ্চাটির উপর যে আক্রমণ হয়েছিল, সেটা মারাত্মক। ওই কেন্দ্রের ডিরেক্টর ডা. কোঙ্গকিয়াত কিটিওয়াটানাওয়ং (Dr Kongkiat Kittiwattanawong)-এর বক্তব্য, “সৈকতে ছড়িয়ে থাকা সমুদ্রের ঢেউয়ের ফেনিল অংশের মধ্যেই বিচরণ করে হাঙররা। ওই এলাকায় তারা মাছ শিকারের লোভে আসে। খুব সম্ভবত ওই বাচ্চাটির পা-টাকেই মাছ ভেবে ভুল করে কামড়ে ধরেছিল হাঙরটি। আর বাচ্চাটিও খুবই সাহসী। সে হাল না-ছেড়ে রীতিমতো লড়াই করে নিজের জীবন বাঁচিয়েছে। এমনটাই তো সে জানিয়েছে আমাদের কাছে।”

advertisement

আরও পড়ুন-গর্ভাবস্থায় কাঁড়ি কাঁড়ি আম খাচ্ছেন না কি? ভুল করছেন, মেনে চলুন এই ১০ নিয়ম

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটাতে চাষিদের পাশে দুর্গাপুরের সিএমইআরআই কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা
আরও দেখুন

নাপাতের ঘটনার পরেই সমুদ্রের ওই অংশে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। এমনকী, ওই এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য মোতায়েন করা হয়েছে আধিকারিকদেরও। তবে প্রশাসন এ-ও জানিয়েছে যে, থাইল্যান্ডে হাঙরের আক্রমণের ঘটনা খুবই বিরল!

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Viral News: হাঙর কামড়ে ধরেছিল পা, রীতিমতো রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে প্রাণে বাঁচল সাহসী বালক!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল