TRENDING:

বিসর্জনের আগে ভগবান গণেশের বিগ্রহের গা থেকে সোনার গয়না খুলতে ভুলে গিয়েছিলেন দম্পতি; তারপর যা হল…

Last Updated:

আসলে ওই পরিবারটিতেও আগমন ঘটেছিল ভগবান গণপতির। কিন্তু বিসর্জনের পর পরিবারের সদস্যদের মনে হয়, ভগবান গণেশের মূর্তির গা থেকে খোলা হয়নি গয়না। রীতিমতো মাথায় হাত পড়ে সকলের।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বেঙ্গালুরু: দিন কয়েক আগেই ছিল গণেশ চতুর্থী। সারা দেশের মানুষ গণপতি বাপ্পার আরাধনায় মেতে উঠেছিলেন। তবে গণেশ চতুর্থীকে ঘিরে এক চমকপ্রদ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে বেঙ্গালুরুর এক পরিবার। আসলে ওই পরিবারটিতেও আগমন ঘটেছিল ভগবান গণপতির। কিন্তু বিসর্জনের পর পরিবারের সদস্যদের মনে হয়, ভগবান গণেশের মূর্তির গা থেকে খোলা হয়নি গয়না। রীতিমতো মাথায় হাত পড়ে সকলের। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় খোঁজ। টানা ১০ ঘণ্টা খোঁজার পর অবশেষে উদ্ধার হয় ভগবান গণেশের অলঙ্কার।
বিসর্জনের আগে ভগবান গণেশের বিগ্রহের গা থেকে সোনার গয়না খুলতে ভুলে গিয়েছিলেন দম্পতি; তারপর যা হল (Representative/PTI File Photos)
বিসর্জনের আগে ভগবান গণেশের বিগ্রহের গা থেকে সোনার গয়না খুলতে ভুলে গিয়েছিলেন দম্পতি; তারপর যা হল (Representative/PTI File Photos)
advertisement

আরও পড়ুন– হাসপাতালে ফের গণধর্ষণের চেষ্টা, ডাক্তারের গোপনাঙ্গ কেটে কোনওরকমে বাঁচলেন নার্স ! বিহারে পুলিশের জালে এক চিকিৎসক-সহ ৩

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, এই ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরু বিজয়নগরের দশারাহল্লির কাছে। সেখানকারই বাসিন্দা দম্পতি রামাইয়া এবং উমা দেবী। তাঁরা গণেশ চতুর্থীর দিন নিজেদের বাড়িতে ভগবান গণপতির মূর্তি স্থাপন করেছিলেন। আর ভগবান গণেশের মূর্তি অলঙ্কার আর ফুল দিয়ে সাজিয়েছিলেন তাঁরা। একটি ৬০ গ্রাম সোনার চেন নিবেদন করেন বিগ্রহের কাছে। যার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা।

advertisement

শনিবার রাতে সেই বিগ্রহ নিরঞ্জন করার জন্য একটি মোবাইল ট্যাঙ্কে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। সমস্ত রীতি-আচার সম্পন্ন হওয়ার পরে রামাইয়া এবং উমা দেবী বুঝতে পারেন যে, বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। আসলে বিগ্রহের গা থেকে সোনার চেনটি খুলতে ভুলে গিয়েছেন তাঁরা। এর ঘণ্টাখানেক পরে বিগ্রহ নিরঞ্জনের স্থানে ছুটে যান ওই দম্পতি। ওই ট্যাঙ্কের কাছে উপস্থিত থাকা কয়েকজন তরুণ জানান যে, তাঁরা এই সোনার চেনটি দেখেছেন। কিন্তু তাঁরা ভেবেছিলেন যে, সেটি হয়তো সোনার নয়। এরপর সাহায্যের জন্য ওই দম্পতি ছুটে যান মাগাড়ি রোড থানায়। এমনকী গোবিন্দরাজ নগরের বিধায়ক প্রিয়া কৃষ্ণর কাছেও সাহায্য প্রার্থনা করেন তাঁরা।

advertisement

আরও পড়ুন- ২০২৪ সালে প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবথেকে ব্যয়বহুল শহর কোনগুলি? আর ওই তালিকায় ভারতের কোন শহর কত-তম স্থানে রয়েছে?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পুরুলিয়ার কৃষিকাজে নতুন দিগন্তের সূচনা
আরও দেখুন

এদিকে নিরঞ্জনের ওই মোবাইল ট্যাঙ্কটির ব্যবস্থা করেছিলেন লঙ্কেশ ডি নামে এক ব্যক্তি। স্থানীয় বিধায়ক ওই ব্যক্তির সঙ্গেই যোগাযোগ করেন। ওই ট্যাঙ্কের কাছে উপস্থিত তরুণরা মিলে প্রচুর খোঁজাখুঁজি করেন, কিন্তু পাওয়া যায়নি সোনার চেনটি। অবশেষে ১০ হাজার লিটার জল বার করে ট্যাঙ্ক থেকে সোনার চেন উদ্ধার করার অনুমতি পান রামাইয়া এবং উমা দেবী।পরের দিন পর্যন্ত চলে সোনার চেনের সন্ধান। এরপর ১০ জন চেষ্টায় উদ্ধার হয়েছে ভগবান গণেশের বিগ্রহের সোনার চেন। অবশেষে তা তুলে দেওয়া হয়েছে ওই দম্পতির হাতে। ফলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন তাঁরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
বিসর্জনের আগে ভগবান গণেশের বিগ্রহের গা থেকে সোনার গয়না খুলতে ভুলে গিয়েছিলেন দম্পতি; তারপর যা হল…
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল