Bihar: হাসপাতালে ফের গণধর্ষণের চেষ্টা, ডাক্তারের গোপনাঙ্গ কেটে কোনওরকমে বাঁচলেন নার্স ! বিহারে পুলিশের জালে এক চিকিৎসক-সহ ৩
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Nurse Cuts Off Doctor's Private Part: পুলিশ জানিয়েছে যে, হাসপাতালে ডিউটি শেষ হচ্ছিল ওই নার্সের। সেই সময় ডা. সঞ্জয় কুমার এবং তার দুই সহকারী মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই নার্সকে।
আরজি কর কাণ্ডের ছায়া এবার পড়শি রাজ্য বিহারে। এক মাস আগেই কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ডিউটিতে থাকাকালীন নৃশংস ভাবে খুন এবং ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক তরুণী ট্রেনি চিকিৎসক। যার জেরে প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। এমনকী আন্দোলনের ঢেউ গিয়ে পৌঁছেছে বিদেশের মাটিতেও। এই ঘটনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তাররা। আর এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গিয়েছে বিহারের এক বেসরকারি হাসপাতালে। Representative Image
advertisement
আসলে হাসপাতালের এক নার্সকে গণধর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে গণধর্ষণকারীদের গোপনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ঘটনাস্থল থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে রক্ষা পান তিনি। এমনটাই বৃহস্পতিবার জানিয়েছে পুলিশ। বিহার পুলিশের দাবি, যারা ওই নার্সকে গণধর্ষণের চেষ্টা করেছিল, তাদের মধ্যে রয়েছে এক চিকিৎসকও। এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক আবার সমস্তিপুর জেলার মুসরিঘরারারি থানার সীমার আওতায় থাকা গঙ্গাপুরে আরবিএস হেলথ কেয়ার সেন্টারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কাজ করে। পুলিশ জানিয়েছে যে, হাসপাতালে ডিউটি শেষ হচ্ছিল ওই নার্সের। Representative Image
advertisement
সেই সময় ডা. সঞ্জয় কুমার এবং তার দুই সহকারী মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই নার্সকে। অভিযোগ, ওই সময় মদ্যপ ছিল তারা। এরপর ওই চিকিৎসকের গোপনাঙ্গ একটি ব্লেডের সাহায্যে কেটে দিয়েছিলেন ওই নার্স। এরপর কোনওক্রমে ধর্ষণকারীদের খপ্পর থেকে বেঁচে পালিয়ে যান। আর হাসপাতালের বাইরে একটি মাঠের মধ্যে দিয়ে পালানোর সময় পুলিশকে ফোন করেন তিনি।ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ সঞ্জয় কুমার পাণ্ডে বলেন যে, ওই হাসপাতালে ছুটে যায় পুলিশের একটি দল। নার্সকে সুরক্ষিত হেফাজতে নিয়ে ওই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। Representative Image
advertisement
ডা. সঞ্জয় কুমারের পাশাপাশি যাদের পাকড়াও করা হয়েছে, তাদের নাম হল অবধেশ কুমার এবং সুনীল কুমার গুপ্তা। ডিএসপি কুমার আরও বলেন যে, নির্যাতনকারীরা এই ঘটনা ঘটানোর আগে সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। এর পাশাপাশি ভিতর থেকে হাসপাতাল তালাবন্ধও করে দিয়েছিল তারা। তবে এক্ষেত্রে ডিএসপি কুমার ওই নার্সের উপস্থিত বুদ্ধি এবং সাহসিকতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন। Representative Image
advertisement
যে ব্লেডটি দিয়ে নার্স ওই চিকিৎসকের গোপনাঙ্গ কেটেছে, প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ সেটি উদ্ধার করেছে। এর পাশাপাশি, রক্তাক্ত কাপড়চোপড়, একটি মদের বোতল এবং তিনটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ঘটনার আগে ওই তিন অভিযুক্ত মদ্যপান করেছিল। এদিকে বিহার আবার ড্রাই স্টেট। ফলে মদ্যপানের কারণে নিষেধাজ্ঞা আইনের আওতাতেও অভিযুক্তদের নিয়ে মামলা করা হবে। Representative Image