কিন্তু ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা অর্ঘ্য যে দেবদেবীদের পছন্দ হতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। এই পরিস্থিতিতে ঈশ্বরকে নিবেদন করা ভোগের ক্ষেত্রে একাধিক বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। জ্যোতিষী পণ্ডিত শত্রুঘ্ন আচার্য বলেন যে, ঈশ্বরকে ভোগ নিবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা আবশ্যক। যেমন – অনেক সময় ঈশ্বরকে অর্পণ করা ভোগপ্রসাদের উপর তুলসি পাতা রাখেন। এটা কিন্তু একেবারেই করা উচিত নয়। আসলে সমস্ত দেবদেবী যে তুলসি পাতা পছন্দ করেন, সেটা একেবারেই নয়।
advertisement
আরও পড়ুন– মাত্র ১ টাকা পণ ! মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন গরিব বাবা, দেশবাসীরও চোখ ছলছল
জ্যোতিষী বলেন যে, ভগবান বিষ্ণু তুলসি পছন্দ করেন। তাঁর প্রসাদে তুলসি পাতা রাখা উচিত। আবার অন্য দিকে ভগবান ভোলানাথের প্রসাদে কখনওই তুলসি পাতা যোগ করা কখনওই উচিত নয়। এর পাশাপাশি ভগবান গণেশের প্রসাদেও তুলসি পাতা রাখা উচিত নয়। এমনটা করলে ভগবান শঙ্কর এবং ভগবান গণেশ ক্রুদ্ধ হতে পারেন।
এমনকী, এমনটা করলে ভক্তের সমস্ত কাজও পণ্ড হতে পারে। এর পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হতে পারেন। জ্যোতিষী পণ্ডিত বলেন, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ভোগ নিবেদন করার পরেই অনেকে সঙ্গে সঙ্গে তা নামিয়ে নেন এবং প্রসাদ হিসেবে সেটা খেয়ে নেন। এটা একেবারেই করা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন যে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ভোগ নিবেদন করার পরে তা প্রথমে নামিয়ে নিতে হবে। সেই প্রসাদের কিছুটা পরিমাণ গরুকে খাওয়াতে হবে।
কারণ বিশ্বাস করা হয় যে, ঈশ্বরের প্রসাদ যদি গরুকে খাওয়ানো হয়, তাহলে পুজোর বিশেষ ফল পাওয়া যাবে। প্রসাদের কিছুটা অংশ গরুকে খাওয়ানোর পরে তবেই সেটা অন্যদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে এবং নিজে খেতে হবে। ঈশ্বরকে ভোগ নিবেদন করার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলেই পূজার বিশেষ ফলাফল লাভ হবে।