পৃথিবীর সব থেকে ছোট দেশ বললে সকলেই বোঝেন সান মারিনো এবং ভ্যাটিকান সিটির কথা। কিন্তু রাজতন্ত্রী সেবোরগাই (Seborga) পৃথিবীর সব থেকে ছোট দেশ। আয়তন যার মাত্র ১৪ কিলোমিটার। এদেশের নিজস্ব পতাকা, নিজস্ব মুদ্রা রয়েছে। রয়েছে সীমান্ত প্রহরী, রয়েছেন এক রাজকুমারী।
আরও পড়ুন– পুজোর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত, কবে কবে বৃষ্টির সম্ভাবনা? জেনে নিন
advertisement
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেবোরগার আয়তন এতই কম, যে ভারতের বেশিরভাগ গ্রামই তার থেকে বড়। গত ১০০০ বছর ধরে এই দেশটি স্বাধীন। সীমান্তে রয়েছে কড়া প্রহরা। এদেশে আসতে চাইলে অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে পাসপোর্ট, ভিসা।
স্বয়ং পোপ এই দেশের অধিপতি নির্বাচিত করেছিলেন। ১৭১৯ সালে দেশে মালিকানায় বদল হয়, তবে তার ‘মাইক্রোনেশন’ পরিচিতি অক্ষত ছিল। ১৮০০ সালে ইতালির সঙ্গে মিশে গেলে অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন দেশটিকে। কিন্তু ১৯৬০ সালে, স্থানীয় বাসিন্দারা বুঝতে পেরেছিলেন যে সেবোরগা রাজতন্ত্রের আধিপত্য বজায় রয়েছে। সেই সময় প্রিন্স জর্জিও নিজেকে অধিপতি ঘোষণা করেন।
পরবর্তী ৪০ বছরে, তিনি সংবিধান তৈরি করেছেন। দেশের জন্য চালু হয়েছে পৃথক মুদ্রা, সিলমোহর। জাতীয় ছুটির দিনও নির্বাচন করা হয়েছে। পরবর্তীকালে ৩২০ জন নাগরিকের রাজা হন প্রিন্স মার্সেলো।
এই মুহূর্তে এই দেশের জনসংখ্যা ২৯৭। আর তাঁদের শাসন করেন রাজকুমারী প্রিন্সেস নিনা। ২০১৯ সালে প্রিন্সেস নিনা সিংহাসনে বসেছেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তিনি কখনও রাজ্য শাসনের কথা ভাবেননি। সেবোরগার মুদ্রার নাম সেবোরগা লুগিনো। ৪৯৯ লুগিনোর সমান হল ৬ মার্কিন ডলার।
সেবোরগা খুবই সুন্দর একটি দেশ। এখানকার বাড়িঘর পর্যটকদের আকর্ষণ করে। রয়েছে কিছু ভাল রেস্তোরাঁও। তাই পর্যটক সমাগম হয়েই থাকে। অল্প সময়ে ভ্রমণের জন্য আদর্শ এই দেশ।