সম্প্রতি এমনই এক ধাঁধা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবি দেখে বিভিন্ন রকম মত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে ছবিটার আসল রহস্যটা কী, সেটাই আজ খুঁজে বার করব আমরা!
একটি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর সিল্যুয়েটে একটি কালো অবয়ব। মনে হচ্ছে দেখে যে, বড় লেজবিশিষ্ট একটি প্রাণী যেন গাছের ডাল ধরে ঝুলছে। ওই অপটিক্যাল ইলিউশনে বলা হয়েছে যে, “কোনটা আগে দেখছেন? একটি হনুমান না কি একটি সিংহ?” আর প্রথমে কোন প্রাণীটিকে দেখছেন, সেটাই বলে দেবে আপনার ধৈর্যশক্তি কতটা! আসলে রোজকার জীবনে আমাদের নানা ক্ষেত্রেই ধৈর্যশক্তির পরীক্ষা দিতে হয়। অপটিক্যাল ইলিউশনের এই ধাঁধাকে আবার ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা হিসেবেও ধরা যায়। কারণ এতে আত্মসচেতনতাও বৃদ্ধি পায়। কথা না বাড়িয়ে তাহলে দেখে নেওয়া যাক কার ধৈর্যশক্তি কেমন!
advertisement
যাঁরা প্রথমে সিংহ দেখছেন:
সিংহ শক্তি, ক্ষমতা, সাহস এবং আধিপত্যের প্রতীক। যাঁরা এই অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধায় প্রথমেই সিংহ দেখছেন, তাঁদের মধ্যেও সিংহের মতো এই বিশেষ ক্ষমতা দেখা যায়। তাঁরা সাধারণত অধৈর্য এবং জেদী প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এর পাশাপাশি সিংহ বেপরোয়া এবং আবেগপ্রবণ হয়। তাই যাঁরা প্রথমে সিংহ দেখছেন, তাঁদের একটা বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। আর সেটা হল, তাঁদের লক্ষ্যের পথে যেন অহঙ্কার কখনওই বাধা হয়ে না দাঁড়ায়!
যাঁরা প্রথমে হনুমান দেখছেন:
হনুমান বুদ্ধিমান এবং কৌতূহলী প্রকৃতির হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে কখনও কখনও সৃজনশীলনতা এবং কৌতুকের সঙ্গেও এদের যোগ থাকে। ফলে যাঁরা প্রথমে হনুমান দেখছেন, তাঁদের মধ্যে এই ধরনের গুণ বিদ্যমান। তবে হ্যাঁ এই মানুষগুলি ধৈর্যশীল হয় এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে। যদিও হনুমানও কিন্তু আবেগপ্রবণ ও অসচেতন হয়ে থাকে। তাই যাতে আবেগ জীবন থেকে কিছু ছিনিয়ে না নিতে পারে, তার জন্য তাঁদের সতর্ক থাকা আবশ্যক।