আমাদের পড়শি রাজ্য বিহার। সেখানকার বেগুসরাই জেলার বারাউনি রেলওয়ে জংশনে গিয়ে তন্ন-তন্ন করে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম খুঁজলেও তা পাওয়া যাবে না। শোনা যায়, বারাউনি রেলওয়ে জংশনটি এশিয়ার মধ্যে সবথেকে বেশি জমির উপর তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১৮৬০ সালে বেগুসরাইয়ে প্রথম বারের জন্য গড়হারা রেলস্টেশন স্থাপন করা হয়েছিল। এর পরে ১৮৮৩ সালে এই স্টেশনটির কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার বদলে তিন কিলোমিটার উত্তরে বারাউনি রেলওয়ে জংশন তৈরি করা হয়। এর পর থেকে এই বারাউনি জংশনের উপর দিয়েই দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রেন চলাচল করে।
advertisement
আরও পড়ুন- শাড়ি পরে খোলা চুলে লোহার রড থেকে উল্টো হয়ে ঝুলছেন যুবতী; কীর্তি দেখে তাজ্জব নেটমাধ্যম
প্রতিদিন এই স্টেশন দিয়ে প্রায় ১ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পরে এই জংশনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবা হয়। আসলে ওই সময় ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় স্থান মিথিলাঞ্চলের প্রবেশদ্বার সিমরিয়ায় অবস্থিত গঙ্গা নদীর উপর রাজেন্দ্র সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলে এই জংশনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর পরেই উত্তর বিহারের অগ্রগতি শুরু হয়।
আরও পড়ুন– কেমন কাটবে সেপ্টেম্বর মাস? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
রেলওয়ে যাত্রী সমিতির সদস্য সুরেন্দ্র শাহ-র কথায়, “ব্রিটিশ আমল থেকে বারাউনি স্টেশনের ২ থেকে ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তবে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মটাই নেই। কখনও কখনও দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে আসা ট্রেন ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে থামবে বলেও জানানো হয়। এমনকী মাঝেমধ্যে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামার কথাও ঘোষণা করে রেল। আর বাইরের যাত্রীরা এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পেতে গিয়ে নাজেহাল হন। আসলে বারাউনি রেলওয়ে জংশনে এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম তো কখনওই তৈরি হয়নি।”
স্থানীয় বাসিন্দারা যদিও মজা করে বলেন, বারাউনি জংশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম আছে তো। তবে সেটা দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে! এই প্রসঙ্গে পূর্ব-মধ্য রেলওয়ের তথ্য জনসংযোগ আধিকারিক বীরেন্দ্র কুমার বলেন, “এমন কোনও ব্যাপার নেই। লোকজন যেটিকে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম বলেন, সেটি আসলে শহরের দ্বিতীয় রেলস্টেশন।”