কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি: কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে দেখার মত একাধিক বস্তু থাকলেও রাজবাড়ির বিরাট পুজো মণ্ডপ অন্যতম দর্শনীয় সম্পদ। পুজো মণ্ডপের পঙ্খের বিচিত্র কারুকার্য অতুলনীয়। পুজো মণ্ডপের থাম, খিলান ইত্যাদিতেও রাজকীয় ছাপ লক্ষ্য করা যায়। এই ধরনের বিরাট পুজো মণ্ডপ পশ্চিমবঙ্গে খুব বেশি নেই।
দোল পূর্ণিমার পর দ্বিতীয় একাদশী অথবা বলা যেতে পারে চৈত্র মাসের শুক্লা একাদশী তিথিতে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ী প্রাঙ্গণে এক বিরাট মেলা বসে। মেলাটি 'বারোদোলের মেলা' নামে পরিচিত। নদীয়ারাজের কূল বিগ্রহ হলেন বড় নারায়ণ। ১২ দলে বড় নারায়ণ বিগ্রহের সঙ্গে তৎকালীন নদিয়া রাজ প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন স্থানের আরও ১২টি কৃষ্ণের বিগ্রহ রাজবাড়ির দুর্গা দালানের পাশে মণ্ডপ করে পৃথক পৃথক কাঠের সিংহাসনের সাজিয়ে রাখা হয়। এবং তিন দিনের জন্য সাধারণ মানুষকে দর্শন করতে দেওয়া হয় সেই কারণে এই তিনদিন সাধারণের জন্য রাজবাড়ীর একটা অংশ খুলে দেওয়া হয়। যদিও বছরের বিশেষ কিছুদিন ছাড়া রাজবাড়ির অন্দরমহলে সাধারণ মানুষের প্রবেশের অনুমতি থাকে না।
advertisement
রাজবাড়ি যাওয়ার সঠিক সময়: বারোদোলের মেলায়, দূর্গাপূজার সময়, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়, এ ছাড়া ঝুলনযাত্রায় রাজবাড়ি যাওয়ার সঠিক সময়।
কৃষ্ণনগর রাজবাড়ী যাওয়ার গুগল লোকেশন:
কীভাবে যাবেন: কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি যেতে হলে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে সকালের লালগোলা প্যাসেঞ্জার বা কৃষ্ণনগর লোকালে উঠুন। নেমে পড়ুন কৃষ্ণনগর স্টেশনে। স্টেশন থেকে ব্যাটারিচালিত ই রিকশায় পৌঁছে যান রাজবাড়ি। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরেও যেতে পারেন। তবে রাজবাড়ির পূজা মন্ডপ দেখতে হলে বারোদোল বা অন্য কোন উৎসবের আসতে হবে আপনাকে।
Mainak Debnath