মৎস্যজীবীরা জানতে পারেন সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন “গ্রেট স্নেক হেড” মাছ কলকাতার মাছের আড়ৎ থেকে রফতানি হচ্ছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট-সহ একাধিক ভিন রাজ্যে৷ তাই ব্যপক হারে চাহিদা বাড়তে থাকে ওই মাছের। স্থানীয় বাজারে আমদানি হ্রাস পেতে থাকে। ভিন রাজ্যে রফতানি হওয়ার কারণে ওই মাছের পারদ চড়তে থাকে হু হু করে। কয়েক বছরের মধ্যেই এই মাছের কেজি প্রতি মূল্য বৃদ্ধি পায় দ্বিগুণ।
advertisement
কনুইয়ের কালচে ছোপ নিমেষে উধাও! ঝকঝকে গোলাপি ত্বক পেতে ভরসা এই ঘরোয়া টোটকা
মেয়েদের ৫ মিনিট জড়িয়ে ধরলেই মিলবে ৬০০ টাকা! চিনে ‘ম্যান মাম’ ট্রেন্ডে মাতছে যুবসমাজ, জেনে নিন আপনিও
দুর্গাপুরের পাইকারি বাজারে বর্তমানে মিলছে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে। স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয়দের কাছে ওই মাছ ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে৷ দুর্গাপুর ব্যারেজের জলাধারের জলে বিখ্যাত এই “গ্রেট স্নেক হেড ” মাছের স্থানীয় নাম গজার মাছ। সাপের মাথার মত এই মাছের মাথা হওয়ায় “গ্রেট স্নেক হেড ” বলা হয়। শোল মাছের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্য রয়েছে এই গজার মাছের। তবে শোল মাছ আকারে ছোট হয়। আর এই গজার মাছ দামোদর নদে ১২ কেজি ১৫ কেজি ওজনেরও মেলে বলে দাবি মৎস্যজীবীদের। উল্লেখ্য, সেচ কার্যে ও শিল্পে ব্যবহারের জন্য ১৯৫৫ সালে দামোদর নদের ওপর দুর্গাপুর ব্যারেজ গড়ে ওঠে।
ওই ব্যারেজের বিশাল জলাধারে মাছের উৎস শুরু হয়। এক হাজারের অধিক মানুষ ওই জলাধারে মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা অর্জন করছেন। আর এই জলাধারের বিখ্যাত মাছ গলদা চিংড়ি।যা ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে গজার মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খানিকটা হলেও স্বস্তি মিলছে মৎস্যজীবীদের। দুর্গাপুরে দামোদর নদের পাশে প্রায় পাঁচটি মাছের আড়ৎ রয়েছে।
নদের সমস্ত রকম মাছ কলকাতা, শিলিগুড়ি-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় রফতানি হয়। কিন্তু গজার মাছ রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। আড়তদার থেকে মৎস্যজীবীদের দাবি, ওই মাছে রয়েছে যেমন পুষ্টিগুণ তেমনই সুস্বাদু ও ঔষুধি গুণে ভরপুর।এই সব নানা কারণেই গজার মাছ রফতানি হচ্ছে ভিন রাজ্যে।