বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ বহুদিন ধরেই একই দিনের প্রতি এক ধরনের সম্মিলিত অস্বস্তি প্রকাশ করে আসছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই দিনটিকে নিয়ে অসংখ্য মিম, রসিকতা ও অভিজ্ঞতার পোস্ট বারবার ভাইরাল হয়েছে। বহু ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, দিনটি এলেই বিছানা থেকে উঠতে কষ্ট হয়, মানসিকভাবে অন্য যেকোনও দিনের চেয়ে বেশি চাপ অনুভূত হয়।
কত দূরত্ব বিমানে যাবেন? ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভাড়া বেঁধে দিল কেন্দ্র! আপনার কত পড়বে দেখে নিন
advertisement
এবার বহু বছরের সেই গুঞ্জনকে সত্যি বলে মেনে নিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। একটি ঘোষণার মাধ্যমে তারা জানিয়ে দিয়েছে, মানুষ যা বহুদিন ধরে সন্দেহ করছিলেন, সেটিই সত্য।
অনলাইনে প্রতিক্রিয়া আসতে না আসতেই ঘোষণা ঘিরে হাস্যরস ও স্বস্তির ঢল নামে। চাকরিজীবীদের মতে, বিশ্রামের একটি দিন কাটিয়ে যে দিনের সকাল শুরু হয়, সেটিই সবচেয়ে কঠিন। ছুটির দিনে আরাম, দেরিতে ঘুম, মানসিক বিশ্রামের সুযোগ থাকলেও পরের দিনটি হঠাৎই ডেডলাইন, মিটিং আর প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দেয়, যা অনেকের কাছেই অপ্রস্তুত করে তোলে।
আতঙ্কে বেসমেন্টের দিকে ছুটতে গিয়েই…! ২৫ জন মৃত, গোয়ার নাইটক্লাবের অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও প্রকাশ্যে
সোশ্যাল মিডিয়ার আচরণও বহুদিন ধরে ইঙ্গিত দিচ্ছিল কোন দিনটি খারাপ লাগার শীর্ষে। কলেজের অ্যাসাইনমেন্ট সামলানো তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে অফিসকর্মীরা—সবাই বহুদিন ধরে সেই এক দিনের বিরক্তি ভাগ করে নিয়েছেন। ভোরে ওঠার সংগ্রাম, রুটিনে ফেরার চাপ আর সামনে দীর্ঘ সপ্তাহের বাস্তবতা—সব মিলিয়ে দিনটি যেন সাংস্কৃতিকভাবে ক্লান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
এবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সেই অনুভূতিকে মান্যতা দিল। এক্স (আগের টুইটার)-এ তাদের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়েছে—সপ্তাহের সবচেয়ে খারাপ দিন হল সোমবার।
ঘোষণা প্রকাশ্যে আসতেই তা বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে। লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী পোস্টটিকে লাইক, শেয়ার এবং কমেন্ট করেছেন। অনেকেই রসিকতা করে লিখেছেন, তাঁদের বহুদিনের ‘সোমবার-বিদ্বেষ’ এবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল।
ঘোষণার পর আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ‘Monday blues’ কেন্দ্রিক ইন্টারনেট-হাস্যরস। মিমে দেখা যাচ্ছে ঘুমঘুম চোখ, দেরিতে বাজা অ্যালার্ম, কাজের চাপ আর সপ্তাহের প্রথম দিনের দীর্ঘশ্বাস। কেউ লিখেছেন, সিদ্ধান্তটি “ঠিক সময়েই এসেছে”, আবার কেউ জানিয়েছেন, তাঁদের “সোমবার-অবসাদ এখন অফিসিয়ালি সনদপ্রাপ্ত”।
