আরও পড়ুন– কোন গন্ধ পেলে সাপ পালায় জানেন? উত্তর শুনলে চমকে যাবেন আপনিও
গ্লোবাল মিডিয়া আউটলেট নিউ ইয়ার পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে কেপ মে কাউন্টি প্রসিকিউটর্স অফিসের বক্তব্য। তারা জানিয়েছে যে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লরার বাড়িতে ওই ছাত্রের সঙ্গে থাকতেন লরা ক্যারন। অভিযোগ, তিনি নিজের ছাত্রের সঙ্গেই অনুপযুক্ত যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
advertisement
আসলে এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিক অতীতে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি ফেসবুক পোস্টে একটি শিশুর ছবি দেখতে পান ওই ছাত্রের বাবা। তাঁর মনে হয়, শিশুটিকে একেবারে অবিকল তাঁর পুত্রের মতোই দেখতে। জানা গিয়েছে যে, ক্যারন তাঁর সন্তানের বাবা এবং তার ভাইকে পঞ্চম শ্রেণীতে থাকাকালীন পড়িয়েছেন। মিডিয়া আউটলেটের কাছে পুলিশ জানিয়েছে যে, নাবালক ওই ছাত্রের জন্ম ২০০৫ সালে। তার পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন ওই শিক্ষিকা। এমনকী ক্যারনের বাড়িতে ছেলেমেয়েদের রাত পর্যন্ত কাটানোর অনুমতি দিতেন তাঁরা। এরপর ২০১৬ সালে ওই নাবালক কিছু সময়ের জন্য পাকাপাকি ভাবে থেকে গিয়েছিল ক্যারনের বাড়িতে।
আরও পড়ুন– স্নান করার সময় প্রস্রাব হচ্ছে? এটা কি কোনও গুরুতর রোগ? আসল সত্যটা জানলে চমকে যাবেন
সেই সময়ে ওই মহিলা নাবালকের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। যার জেরে তিনি অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েছিলেন। প্রসিকিউটরের অফিস সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে ভূমিষ্ঠ হয় ওই শিক্ষিকা আর নাবালক ছাত্রের সন্তান। ওই সময় ক্যারনের বয়স ছিল ২৮ বছর এবং ছাত্রের বয়স ছিল ১৩ বছর।
তদন্ত চলাকালীন ওই নাবালক ছাত্রের বোন প্রসিকিউটরদের কাছে জানিয়েছেন যে, ক্যারনের বাড়ির একটি ঘরে নিজের ভাইয়ের সঙ্গে একই ঘরে ঘুমোতেন তিনি। কিন্তু সরালে উঠে দেখতেন যে, তাঁর ভাই শিক্ষিকার বিছানায় রয়েছেন। ওই মেয়েটি আরও দাবি করেছেন যে, যখন তাঁর ভাইয়ের ১১ বছর বয়স ছিল, তখন থেকে তাঁর সঙ্গেই ঘুমোতেন ক্যারন।
বর্তমানে নাবালক ছাত্রের বয়স ১৯-২০ বছর। প্রসিকিউটরদের কাছে তিনি স্বীকার করেছেন যে, ক্যারনের সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক ছিল। যআর জেরে ওই শিক্ষিকার সন্তানের বাবা হয়েছেন। তবে তাঁর বাবা শিশুটির সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত ক্যারনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন– দুধ-বিভ্রাটের জেরে ব্যাপক হইচই ! কাতারে কাতারে হাসপাতালে ছুটলেন গ্রামবাসীরা, তারপর যা হল…
যৌন নিপীড়ন, যৌন নিপীড়নের জন্য প্ররোচনা এবং শিশুকল্যাণ বিপন্ন করার অভিযোগ উঠেছে ক্যারনের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ভাবে কোর্টে তোলার আগে তাঁকে কেপ মে কাউন্টি কারেকশনাল ফেসিলিটিতে রাখা হয়েছে। এই সময়টুকুর জন্য মিডল টাউনশিপ স্কুল ডিস্ট্রিক্ট ক্যারনকে পেইড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ লিভে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে স্কুল সম্পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা করছে।