অবসর গ্রহণের পরে মানুষ নির্ভেজাল শান্তির জীবন কাটাতেই পছন্দ করেন। কিন্তু হরিয়ানার এই প্রবীণ ব্যক্তি বরাবরই ছকভাঙা। অবসর নেওয়ার পরেই ফূর্তির জীবন কাটাতে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। সন্তানদেরও একটা পয়সা দিতে রাজি নন তিনি। ইনস্টাগ্রামের ওই ভিডিও-তে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, “অবসরের পরে আমি এমন জীবনের স্বপ্নই তো দেখেছিলাম! তবে আমার সন্তানদের ধারণা ছিল যে, আমি তাদের জন্য টাকা রেখে দেব। কিন্তু আমি তাদের একটাও টাকাকড়ি দেব না। কেন দেব? তারা তো নিজেরাই উপার্জন করতে পারে। আমিই আজীবন তাদের দায়িত্ব বয়ে বেড়াব না কি? তার পরিবর্তে নিজের অর্থের স্বাদ এখন নিজেই উপভোগ করব!”
advertisement
কথা মতোই কাজ তাঁর! কখনও জিমে তো কখনও আবার হোটেলে দেখা আনন্দ-ফূর্তি করতে দেখা যায় ওই প্রবীণকে। বিভিন্ন রকম স্টাইলে জীবন উপভোগ করতে দেখা যায় তাঁকে। সব মিলিয়ে বোঝাই যায় যে, ভারী আনন্দেই রয়েছেন তিনি। এবার এক মেয়ের বয়সী রাশিয়ান নারীর সঙ্গে ভক্তদের আলাপ করালেন তিনি। একটি ভিডিও-তে দেখা যায়, একটি বাড়িতে রাশিয়ান বান্ধবীর সঙ্গে থাকছেন ধরমবীর। ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রেমিকার শয়নকক্ষে ঢুকছেন বৃদ্ধ। দরজা খুলতেই দেখেন, বান্ধবী যেন কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। বান্ধবীকে সন্দেহ করে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। চেঁচিয়ে প্রশ্নও করেন তিনি। আর অন্য দিকে বান্ধবীকে ফোনটি লুকিয়ে ফেলতে দেখা যায়। আর কাঁদতেও শুরু করেন রাশিয়ান ওই কন্যে।
এর পাশাপাশি ওই বান্ধবীর সঙ্গে আরও নানা ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। একটা ভিডিওতে আবার ব্রেক-আপের কথাও বলেছেন ধরমবীর। বান্ধবী অন্য কারওর সঙ্গে ফোনে কথা বলছে, এই দাবি করে তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন তিনি। হ্যাশট্যাগে লিখেছেন ব্রেক আপ। এখানেই শেষ নয়, এর পরেও আর একটি ভিডিওতে ওই প্রবীণকে কাঁদতে দেখা যায়। কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানান যে, ওই বান্ধবীকে কতটা মিস করছেন। সব সময় মনে পড়ছে। কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। এমনকী বান্ধবীকে ফিরে আসার জন্যও অনুরোধ করেন ওই প্রবীণ।