অবশ্য, তার ন্যায্য কারণও আছে। পাকিস্তানের সীমা গুলাম হায়দার আর ভারতের শচীন মীনার পাবজি খেলা থেকে শুরু হওয়া প্রেম যে জীবনকেও করে তুলবে লড়াইয়ের ময়দান, কে জানত!
পাবজি খেলা থেকে আলাপ জমার পরে নেপালে দেখা হয় সীমা আর শচীনের। তাঁদের গল্প হোক বা খেলা, ওখানেই শেষ হলে কিছু বলার ছিল না। কিন্তু যে সীমা চার সন্তানের মা, তাদের সঙ্গে করেই এসেছেন বিবাহবহির্ভূত প্রেমে সাড়া দিতে, তিনি যে পিছিয়ে যাবেন না, এটা পড়ে স্বাভাবিক হিসেবে। আর শচীনও তো দুরন্ত প্রেমিক, ভরসার বুক তিনি পেতে দিয়েছেন প্রেমিকার জন্য।
advertisement
অতএব, ফেরা হল নিজের নিজের বাড়িতে পরস্পরের কাছে ফিরে আসার জন্য। নিজের পাকিস্তানের জমি ওখানকার হিসেবে ১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে, নেপালি ভিসা জুটিয়ে সীমা এলেন পোখরায়। সেখান থেকে বর্ডার পেরিয়ে গ্রেটার নয়ডা, শচীনের বাড়ি।
আরও পড়ুন– বিরোধীদের ‘মারধর’-এর অভিযোগ লাভলির বিরুদ্ধে, অন্যদিকে নন্দীগ্রামে আক্রান্ত তৃণমূল
৪ জুলাই পুলিশ দু’জনকেই তুলে নিয়ে গেল। সীমাকে বেআইনি ভাবে বর্ডার পার হওয়ার জন্য, শচীনকে এঁদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য, আইনত ভিসা ছাড়া অন্য দেশের কাউকে নিজের বাড়িতে রাখাও অপরাধ। তবে, ৯ জুলাই জেল থেকে ছাড়াও পেয়েছেন তাঁরা, চলছে সীমার ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রস্তুতি।
আর এর মধ্যেই দফায় দফায় লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন রাবুপুরায়, তাঁদের পাকিস্তানি বউদিকে দেখতে। ব্যাপারটা অস্বস্তির, সন্দেহ নেই। তবে গ্রামবাসীরা বলে দিয়েছেন- বউদির কোনও রকম অসুবিধা তাঁরা হতে দেবেন না।
ফলে, মনের সুখে নিজেদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়ছেন শচীন আর সীমা। তা ভাইরালও হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক ভিডিওতে সীমাকে সিঁদুরও পরিয়েছেন শচীন। সীমা বলছেন, তিনি হিন্দু ধর্ম নেবেন, গঙ্গায় স্নান করে শুরু করবেন নতুন জীবন।