গ্রামের বাসিন্দা নন্দু কুশওয়াহা জানিয়েছেন, ৫ অক্টোবর সকালে তাঁর ২৫-৩০ বছরের পুরনো টিউবওয়েল থেকে প্রায় ১.২৫ কেজি ছোট মাছ বেরিয়ে আসে। ওই মাছগুলির মধ্যে ছিল সিঙি, তেগনা, গিরাই ও গইজা প্রজাতির মাছ।
নন্দু আরও বলেন, “পরের দিনও প্রায় আধ কেজি মাছ বেরিয়ে আসে টিউবওয়েল থেকে। প্রথমে টিউবওয়েল থেকে বেরোতে শুরু করে হলুদ, কাদা-মেশানো জল। তারপরই দেখি মাছ লাফিয়ে উঠছে।”
advertisement
একই ধরনের ঘটনার কথা জানিয়েছেন গ্রামের আরও অনেকে। সীতা কুশওয়াহা ও প্রমিলা দেবীর বাড়িতেও তাঁদের হাতপাম্প থেকে মাছ বেরিয়েছে। প্রমিলা দেবী জানিয়েছেন, “আমি স্নান করছিলাম, হঠাৎ দেখি হাতপাম্প থেকে তিনটে ছোট মাছ পড়ল আমার বালতিতে।”
চম্পা দেবী বলেন, “হাত ধোয়ার সময় হঠাৎ একটা মাছ এসে পড়ল আমার হাতে! আমি তো ভয়ে চমকে উঠেছিলাম।”
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ৪ অক্টোবরের টানা বৃষ্টির পর থেকেই এই ঘটনা ঘটতে শুরু করে। প্রায় ২০ থেকে ২৫টি বাড়ির হাতপাম্প ও টিউবওয়েল থেকে এখন বেরোচ্ছে হলুদ, দুর্গন্ধযুক্ত জল। কেউ কেউ বলছেন, নিচের জলস্তরে হয়তো মাছের প্রাকৃতিক আশ্রয় তৈরি হয়েছে, যা বৃষ্টির চাপে উপরে উঠে আসছে।
বর্তমানে গ্রামের পানীয় জল পুরোপুরি দূষিত হয়ে পড়ায়, স্থানীয়রা বাধ্য হয়েছেন রিও (RO) জল কিনে রান্না ও খাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে।
অদ্ভুত এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের গ্রামের মানুষরাও জামসদায় ভিড় করছেন, নিজের চোখে এই ‘হাতপাম্পের মাছের বৃষ্টি’ দেখতে। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার দুল্লাহপুর থানার অন্তর্গত জামসদা গ্রামে ঘটছে এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা।