সোনা-রুপোকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল 'বড়দা'! দাম বেড়েছে ৮০%! দীপাবলির আগে বিনিয়োগকারীদের নতুন পছন্দ এটাই!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
সোনার দাদা, রুপোর ভাই, বহু দিন ম্লান হয়ে থাকা সেই ধাতুটি হঠাৎ এমন গতিতে ছুটতে শুরু করেছে যে সোনা-রুপো—দু’জনকেই পিছনে ফেলে দিয়েছে। কী সেই ধাতু?
advertisement
advertisement
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের অনিশ্চিত আর্থিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার হ্রাসের প্রভাবে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনা-রুপো ছাড়াও এখন এই ধাতুর দিকে ঝুঁকছেন। ফলে ২০২৫ সালের দীপাবলির আগেই 'বড়দা'ই হয়তো হয়ে উঠবে নতুন ‘চকচকে প্রলোভন’ বিনিয়োগ দুনিয়ার।
advertisement
advertisement
প্ল্যাটিনামের দাম কেন বাড়ছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্ল্যাটিনামের এই উত্থানের সবচেয়ে বড় কারণ সরবরাহে ঘাটতি এবং শিল্প ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রের চাহিদা বৃদ্ধি। গত দুই বছর, অর্থাৎ ২০২৩ ও ২০২৪ সালে প্ল্যাটিনামের দাম ছিল প্রায় স্থবির—২০২৩-এ কমেছিল ৮%, আর ২০২২ সালে বেড়েছিল মাত্র ১০%। কিন্তু ২০২৫-এ পরিস্থিতি একেবারেই বদলে গিয়েছে।
advertisement
প্ল্যাটিনাম এখন তার পুরনো গৌরব ফিরে পেতে চাইছে। একসময় সোনার চেয়েও দামি ছিল এই ধাতুটি। কিন্তু পরে সোনার দাম তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে প্ল্যাটিনামের তুলনায়। এখন আবার অনেকেই গয়না তৈরিতে সোনার বদলে প্ল্যাটিনাম ব্যবহার করছেন, কারণ এটি তুলনায় সস্তা, টেকসই এবং স্টাইলিশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বৃষ্টিতে উৎপাদনে ধস প্ল্যাটিনামের সবচেয়ে বড় উৎপাদক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা।
advertisement
advertisement
প্ল্যাটিনাম এখন তার পুরনো গৌরব ফিরে পেতে চাইছে। একসময় সোনার চেয়েও দামি ছিল এই ধাতুটি। কিন্তু পরে সোনার দাম তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে প্ল্যাটিনামের তুলনায়। এখন আবার অনেকেই গয়না তৈরিতে সোনার বদলে প্ল্যাটিনাম ব্যবহার করছেন, কারণ এটি তুলনায় সস্তা, টেকসই এবং স্টাইলিশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বৃষ্টিতে উৎপাদনে ধস প্ল্যাটিনামের সবচেয়ে বড় উৎপাদক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেখানে টানা বৃষ্টি, বিদ্যুৎ সঙ্কট ও জলাভাবের কারণে উৎপাদন ২৪ শতাংশ কমে গিয়েছে। ‘ওয়ার্ল্ড প্ল্যাটিনাম ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮.৫ লক্ষ আউন্স প্ল্যাটিনামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এটা টানা তৃতীয় বছর, যখন চাহিদা সরবরাহের তুলনায় অনেক বেশি থাকবে।
advertisement
শিল্পক্ষেত্রে প্ল্যাটিনামের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার প্ল্যাটিনামের ৭০ শতাংশের বেশি ব্যবহার হয় শিল্পক্ষেত্রে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ক্যাটালিটিক কনভার্টারে (যা গাড়ির দূষণ কমাতে সাহায্য করে) এবং গ্রিন টেকনোলজিতে। চীন এই বছর প্ল্যাটিনাম ক্রয় ২৬ শতাংশ বাড়িয়েছে, কারণ এটি সোনার তুলনায় অনেক সস্তা। অটোমোবাইল শিল্পেও প্ল্যাটিনামের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে।
advertisement
পাশাপাশি, হাইড্রোজেন এনার্জির জন্য ফুয়েল সেল তৈরিতেও এই ধাতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের নতুন প্রিয় ধাতু শুধু শিল্পক্ষেত্রই নয়, বিনিয়োগকারীরাও এখন প্ল্যাটিনামের দিকে ঝুঁকছেন। গত এক বছরে বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ৩০০ শতাংশ। অনেকেই এটিকে “আন্ডারভ্যালুড প্রেশিয়াস মেটাল” বলে মনে করছেন, অর্থাৎ এখনই কেনার সঠিক সময়।
advertisement
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? এসএমসি গ্লোবাল সিকিউরিটিজ-এর সিইও অজয় গর্গ জানিয়েছেন, চাহিদা বাড়ায় এবং মজুত কমায় বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। চীনে গয়না তৈরির জন্য প্ল্যাটিনামের ব্যবহার এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে এর দাম আরও বাড়তে পারে। পরিষ্কার শক্তি (clean energy) প্রযুক্তিতে ব্যবহারের ফলে এর বাজার আরও মজবুত থাকবে।
advertisement
চয়েস ব্রোকিং-এর রিসার্চ অ্যানালিস্ট কাবেরী মোরে বলেন, ২০২৫ ও তার পরেও প্ল্যাটিনাম শক্তিশালী থাকবে। প্রতিবছরই প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ৮.৫ লক্ষ আউন্স ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বিশ্বজুড়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম কঠোর হচ্ছে, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল প্রযুক্তি দ্রুত বিকাশ পাচ্ছে, এবং চীনের ভোগ বাড়ছে—এই সব কারণেই প্ল্যাটিনামের চাহিদা আগামী বছরগুলোতে আরও তীব্র হবে।