রাজস্থান মানে মরুভূমির দেশ। প্রচণ্ড গরম। খরাও হয়। গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা দীনেশ সাইনি বলেন, গ্রীষ্মকালে যত গরমই পড়ুক না কেন, পার্বতীকুণ্ডের জল কখনও শুকোয় না। জলের প্রবাহ বজায় থাকে। দীনেশের কথায়, দাদু-ঠাকুমারাও আমাদের বলতেন, এখানে হাজার হাজার বছর ধরে জল আসছে। রঙ একেবারে দুধের মতো। বিশুদ্ধতায় ফিল্টারের চেয়েও ভাল।
advertisement
পার্বতীকুণ্ড সাধুদের আখড়া: এই কুণ্ডের ধারেই থাকেন সাধক রাজানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন, হাজার হাজার বছর ধরে এই কুণ্ডে জল আসছে। এই ভূমি সাধুদের আবাস। পার্বতী কুন্ড কয়েক ডজন সাধুর তপস্যার জীবন্ত উদাহরণ। এখানে পাহাড়ের অভ্যন্তরে গুহার ভিতরে অনেক সাধু-সন্তের শক্তি বিরাজমান।
চর্মরোগ সেরে যায়: পার্বতীকুণ্ডের দুধের মতো জল সম্পর্কে সাধক রাজানন্দ সরস্বতী বলেন, এই কুণ্ডের জল গঙ্গার আরেক রূপ। এখানে স্নান করলে সমস্ত ধরনের চর্মরোগের নিরাময় হয়।
খরার সময়েও জল থাকে: গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা শিবরাজ সাইনি বলেন, কুণ্ডের কাছে মাটির ২০০ ফুট নিচে তৈরি বোরওয়েল থেকে জল বের হয় না, তবে খরা যতই তীব্র হোক না কেন, এই কুণ্ডে সবসময় জল থাকে। তাঁরা আরও জানান, কুণ্ডের জলের স্তর এমন যে তা কখনও উপচে পড়ে না। এখান থেকে যতটুকু জল তোলা হয় সেই একই পরিমাণ জল আবার ফিরে আসে। আজ পর্যন্ত কেউ এর ঐশ্বরিক শক্তির রহস্য বুঝতে পারেনি।
জলের পরীক্ষাও হয়েছে: স্থানীয় বাসিন্দা শিবরাজ সিং বলছেন, “আমরা এই কুণ্ডের জল জয়পুরের পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছিলাম। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, এই জল ফিল্টার করা জলের চেয়েও বিশুদ্ধ। এতে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে।”