যাই হোক, ক্যারেকটার সার্টিফিকেটের দরকার হয় অনেক সময় সরকারি কাজের জন্যয়। এলাকার কাউন্সিলর অথবা গ্রামের সরপঞ্চ বা গ্রামপ্রধানকে তা লিখে দিতে হয়। যেহেতু বিষয়টি জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই আসলে চরিত্র কেমন, তা গোপনেই রেখে দেওয়া হয়। তবে, সম্প্রতি একজন ব্যক্তির যে ক্যারেকটার সার্টিফিকেট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তা ভদ্রতার ধারকাছ দিয়েও যায়নি। এই ক্যারেকটার সার্টিফিকেট দিয়েছেন জনৈক গ্রামপ্রধান। কিন্তু এতে এমন কিছু লেখা আছে, যা পড়ার পর সকলেই হতবাক! এই ক্যারেকটার সার্টিফিকেট দেখে সকলেই বলছেন যে গ্রামপ্রধানের নিশ্চয়ই সেই ব্যক্তির সঙ্গে বনিবনা নেই, তাই তিনি এভাবে শোধ তুলেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন– অন্তর্বাসে লুকিয়ে এলাচ চুরির চেষ্টা ! ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যুবকের কুকীর্তি নিয়ে হুলস্থূল
সম্প্রতি @_santa_banta_jokes_ ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে যা দেখে মনে হচ্ছে এটি কারও ক্যারেকটার সার্টিফিকেটট। গোটা বিষয়টা সাজানো হতেই পারে হতে পারে, তবে এই ক্যারেকটার সার্টিফিকেটে যেভাবে ছোট ছোট বিবরণ যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তা দেখে মনে হচ্ছে এটি আসল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই ক্যারেকটার সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে জ্ঞানচন্দ্র বৈরওয়ারকে, তিনি রাজস্থানের দৌসার বাসিন্দা। আর এই ক্যারেকটার সার্টিফিকেট দিয়েছেন দৌসা জেলার জয়সিংপুরা গ্রামের সরপঞ্চ।
ক্যারেকটার সার্টিফিকেটের উপরে ব্যক্তির নাম, তাঁর বাবার নাম এবং ঠিকানা লেখা আছে। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক, কিন্তু নীচে লেখা আছে – আমি তাঁকে খুব ভাল করে চিনি। তিনি অত্যন্ত কলহপ্রবণ ব্যক্তি। অন্যকে গালি দেওয়া তাঁর স্বভাব। সব শেষে সরপঞ্চের সিল এবং স্বাক্ষরও রয়েছে। তারিখ দেওয়া রয়েছে ২০ জুলাই, ২০১৯। সন্দেহ নেই যে এই ক্যারেকটার সার্টিফিকেট দিলে জ্ঞানচন্দ্রকে আর চাকরি পেতে হত না। কিন্তু কেন এটি এভাবে লেখা হয়েছিল সে সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই।
এই পোস্টটি ১ হাজারেরও বেশি লাইক পেয়েছে। কেউ কেউ মন্তব্য করে তাঁদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। একজন বলেছেন- এই দুজনকে সবচেয়ে ভাল বন্ধু বলে মনে হচ্ছে। আরেকজন বলেছেন যে সবচেয়ে ভাল বন্ধু যখন গ্রামপ্রধান হয়ে ওঠে, তখন এমনটাই হয়! অন্য একজন বলেছেন যে এটাই আসল ক্যারেকটার সার্টিফিকেট, পুরোপুরি খাঁটি, না চিনলে কেউ এরকম লিখতে পারেন না!