D-Mart: অন্তর্বাসে লুকিয়ে এলাচ চুরির চেষ্টা ! ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যুবকের কুকীর্তি নিয়ে হুলস্থূল
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
জানা গিয়েছে যে এটি হায়দরাবাদের সনতনগরের এক ডিমার্টের ঘটনা। ওই ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে এক যুবকের চুরির ঘটনাটি এখন দোকানে এবং এলাকায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ইংরেজিতে শপ লিফটিং বলে একটা কথা আছে। বিষয়টা আর কিছুই নয়, দোকান থেকে জিনিস তুলে নিয়ে যাওয়া। পয়সা দেওয়ার বালাই এখানে থাকে না। বিষয়টা নিখাদ চুরি! তবে, এই চুরির আবার নেপথ্য কারণ বেশ কিছু হতে পারে। অভাব সব সময়ে এক্ষেত্রে দায়ী হয় না, বেশিরভাগক্ষেত্রেই শপ লিফটিংয়ের কারণ হিসেবে কাজ করে স্বভাব। অনেকের চুরির অভ্যাসও থাকে, তাঁদের ইংরেজিতে ক্লেপটোম্যানিয়াক বলা হয়।
advertisement
advertisement
জানা গিয়েছে যে এটি হায়দরাবাদের সনতনগরের এক ডিমার্টের ঘটনা। ওই ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে এক যুবকের চুরির ঘটনাটি এখন দোকানে এবং এলাকায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। জিনিসপত্র কেনার নাম করে এই যুবক দোকানে ঢুকেছিলেন। তাঁর চুরি করার চেষ্টা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। তবে, একেবারে শুরুতেই যুবককে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়নি। ওই যুবক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য ডিমার্টে এসেছিলেন। তিনি একটি ছোট বাস্কেট নিয়ে তাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখছিলেন। ঝুড়িতে এলাচের প্যাকেটও ছিল। তিনি আরও কিছু জিনিস কিনতে চেয়েছিলেন এবং অন্য তলায় যাওয়ার জন্য লিফটে উঠেছিলেন।
advertisement
লিফটে ওই যুব একা ছিলেন। আর তখনই তিনি চুরি করার চেষ্টা করেন। ঝুড়ি থেকে এলাচের প্যাকেটগুলো বের করে নিজের অন্তর্বাসের মধ্যে লুকানোর চেষ্টা করেন। পুরো ঘটনাটি লিফটে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় স্পষ্টভাবে রেকর্ড করা হয়েছে। পরে ডি মার্ট লক্ষ্য করে যে ১০০ গ্রাম এলাচের এক প্যাকেট নির্দিষ্ট জায়গায় নেই। এইর অসঙ্গতির কারণে দোকান কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। ডিমার্টের নিরাপত্তা কর্মীরা লক্ষ্য করেন যে কে সেটা চুরি করেছেন। (Representational Image)
advertisement
ঘটনাচক্রে, ওই একই দিনে, একই যুবক ডি মার্টে ফিরে এসে আরও ২ প্যাকেট এলাচ চুরি করার চেষ্টা করেন। এবার তিনি ওয়াশরুমে গিয়ে প্যাকেট অন্তর্বাসের মধ্যে রেখে দেন। ডি মার্টের কর্মীরা এই সব লক্ষ্য করেন এবং বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলেন। পরে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। এই ঘটনাটি আবারও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোয় কঠোর নজরদারির গুরুত্ব তুলে ধরেছে। প্রতিটি লিফট, করিডোর, ফ্লোর এবং বিলিং কাউন্টারে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা এবং সেগুলো সব সময় চালু রাখাই চুরি শনাক্ত এবং প্রতিরোধের একমাত্র উপায়।