Turning Point: ১০০ সেকেন্ডের চালাকি আর ম্যাচের গতিপথই ঘুরিয়ে দিল ভারত, শুভমান গিলের এই একটা সিদ্ধান্তেই ধরাশায়ী হল ইংল্যান্ড
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
India vs England in 2nd Test Turning Point : তবে সেই সমস্ত জল্পনা-বিবেচনাকে ভুল প্রমাণ করে শুভমান গিলের অধিনায়কত্বে বার্মিংহামে প্রথমবারের জন্য টেস্ট ম্যাচে জয় লাভ করল ভারতীয় ক্রিকেট দল।
ভারতীয় ক্রিকেট দল যখন ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল, তখন কেউই তাদের জয়ের দাবিদার হিসেবে গণ্য পর্যন্ত করেনি। তবে সেই সমস্ত জল্পনা-বিবেচনাকে ভুল প্রমাণ করে শুভমান গিলের অধিনায়কত্বে বার্মিংহামে জয় লাভ করল ভারতীয় ক্রিকেট দল। যার ফলে আপাতত চলমান এই সিরিজ ১-১-এর সমতায় ফিরে এসেছে। আসলে লিডসে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল ভারত। তবে সেই ম্যাচে পরাজিত হলেও শেষ দিন পর্যন্ত ম্যাচে টিকে থাকতে পেরেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। (Photo: AP)
advertisement
আবার বার্মিংহামেও একেবারে শেষ দিনে শেষ সেশনের ঠিক আগেই শুধুমাত্র একটা বলই ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিল ইংল্যান্ডের সমস্ত আশা এবং জয়ের স্বপ্ন। আসলে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে ওয়াশিংটন সুন্দরের একটি স্পিনিং বল ম্যাচটিকে ভারতের জয়ের পক্ষে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। কারণ ওই বলে তিনি নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকসের উইকেটটি। ভারতের জয়ের ক্ষেত্রে এটি অন্যতম প্রধান উইকেট ছিল। বলাই বাহুল্য যে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় এই ম্যাচে দুর্ধর্ষ ভাবে কামব্যাক করল ভারতীয় ক্রিকেট দল। (Photo: AP)
advertisement
আয়োজক দল ইংল্যান্ড লিডসে ৩৭১ রানের টার্গেট পূরণে নেমে জয়লাভ করেছিল। তবে এবার বার্মিংহামের ম্যাচে ভারত তাদের সামনে এক বড়সড় রানের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে ভারত করেছিল ৫৮৭ রান। পর্বতসম এই রানের পিছনে অন্যতম প্রধান অবদান রয়েছে ভারতের অধিনায়ক শুভমান গিলেরই। তিনি ২৬৯ রানের এক রেকর্ড ইনিংস খেলেছিলেন। এরপরে মহম্মদ সিরাজ এবং আকাশদীপের ঝোড়ো বোলিংয়ের মুখে পড়ে ৪০৭ রানেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল ইংল্যান্ড। ফলে ১৮০ রানে অনেকটাই এগিয়ে থাকতে পেরেছিল ভারত। (Photo: AP)
advertisement
advertisement
১০০ সেকেন্ডের চালাকিই বদলে দিল ম্যাচ: চতুর্থ দিন যখন ইংল্যান্ডের সামনে ৬০৮ রানের বিশাল রানের টার্গেট বেঁধে দিল ভারত, তখন স্বাভাবিক ভাবেই চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দল। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাত্র ৭২ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে নেন আকাশদীপ এবং মহম্মদ সিরাজ। এদিকে আবার পঞ্চম দিনের শুরুতেই বৃষ্টির কারণে খেলা ঘণ্টাখানেক বন্ধ ছিল। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার পরেই রণংদেহি মূর্তি ধরেন আকাশদীপ। দুই উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে আরও চাপে ফেলে দেন তিনি। এদিকে মধ্যাহ্নভোজের আগে মহম্মদ সিরাজকে সরিয়ে ওয়াশিংটন সুন্দরকে দিয়ে বল করানোর সিদ্ধান্ত নেন শুভমান গিল। শেষ হয় ওই ওভারটি। রবীন্দ্র জাদেজা দ্রুত বল করে ১০০ সেকেন্ডের মধ্যে ওভারটি শেষ করে দেন। এটি ভারতকে আর একটি ওভার দিয়ে দেয়। আর এখানেই আসে চমক। (Photo: AP)
advertisement
গোটা ম্যাচের গতিপথই ঘুরে যায়। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকসের উইকেটটি নিয়ে ম্যাচের গতিপথ পুরোপুরি ভাবে ঘুরিয়ে দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। আসলে ভারতের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারতেন বিপক্ষ দলের অধিনায়ক। স্পিনিং বলের মাধ্যমে এলবিডব্লিউ করে সেই সম্ভাবনাকেই গুঁড়িয়ে দেন ওয়াশিংটন। আসলে জাদেজা যদি সময়ের আগে ওভারটি শেষ না করতে পারতেন, তাহলে ততক্ষণে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি হয়ে যেত। যার কারণে বেন স্টোকসের উইকেটটি না-ও পড়তে পারত। (Photo: AP)
advertisement
একটা উইকেটের মাসুল কীভাবে দিতে হল ইংল্যান্ডকে: ঠিক মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই বেন স্টোকসের উইকেটটি নিয়ে নিয়েছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এরপরেই ম্যাচের সমগ্র পরিস্থিতি বদলে যায়। এদিকে প্রথম ইনিংসে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছিল উইকেটকিপার জেমি স্মিথের। তিনি দলকে জয় এনে দিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। দৃঢ় ভাবে পারফর্ম করতে শুরুও করেন। কিন্তু অন্যদিকে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে ইংল্যান্ডের। (Photo: AP)
advertisement
আসলে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে যদি ভারতীয় দল বেন স্টোকসের উইকেটটি ফেলতে না পারত, তাহলে বেন স্টোকস এবং জেমি স্মিথ একসঙ্গে মিলে এই ম্যাচটিতেও ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দিতে পারতেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, ইংল্যান্ড অধিনায়কের উইকেটটি নেওয়া ভারতের জন্য জরুরি ছিল। এমনিতে বড় বড় ম্যাচে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে খেলার দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে বেন স্টোকসের। ফলে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক যদি আউট না হতেন, তাহলে ভারতকে এই ম্যাচেও অনায়াসে ধরাশায়ী করতে পারতেন তিনি। (Photo: AP)