আরও পড়ুন: শ্রাবণ মাসে মহাদেবের জটায় ফণা তুলছে স্বয়ং নাগরাজ, চাক্ষুস করতে উপচে পড়ল ভিড়
মনসা কথার উৎপত্তি ‘মানস’ শব্দ থেকে ৷ অর্থাৎ তিনি মনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ৷ আগামী কাল সেই মনসা দেবীর পুজো ৷ নাগকূলকে তুষ্ট রাখতেই প্রাচীনকালে মনসার পুজো করতেন গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষরা ৷
এক ঝলকে দেখে নিন মনসা পুজোর পদ্ধতি---
advertisement
অধিকাংশ ক্ষেত্রে, প্রতিমায় মনসা পূজা করা হয় না। মনসা পূজিতা হন স্নুহী বা সীজ বৃক্ষের ডালে অথবা বিশেষভাবে সর্পচিত্রিত ঘট বা ঝাঁপিতে। যদিও কোথাও কোথাও মনসা মূর্তিরও পূজা হয়। বিশেষ করে বাংলার গ্রামে গ্রামে মনসা পূজা বহুল প্রচলিত। এই অঞ্চলে মনসার মন্দিরও দেখা যায়। বর্ষাকালে সাপেদের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে বলে এই সময়ই মনসা পূজা প্রচলিত। শ্রাবণ মাসে নাগপঞ্চমীতেও মনসার পূজা করা হয়। বাঙালি মেয়েরা এই দিন উপবাস ব্রত করে সাপের গর্তে দুধ ঢালেন।
দেবী মনসার মন্ত্র---
দেবীমম্বামহীনাং শশধরবদনাং চারুকান্তিং বদন্যাম্ । হংসারূঢ়মুদারামসুললিতবসনাং সর্বদাং সর্বদৈব ।। স্মেরাস্যাং মণ্ডিতাঙ্গীং কনকমণিগণৈর্মুক্তয়া চ । প্রবালৈর্বন্দেহ হং সাষ্টনাগামুরুকু চগলাং ভোগিনীং কামরূপাম্ ।।
এর অর্থ হল--- সর্প দিগের মাতা, চন্দ্র বদনা, সুন্দর কান্তি বিশিষ্টা, বদন্যা, হংস বাহিনী, উদার স্বভাবা, লোহিত বসনা, সর্বদা সর্ব অভিষ্ট প্রদায়িনী, সহাস্য বদনা, কণকমনি মুক্তা প্রবালাদির অলঙ্কার ধারিনী, অষ্ট নাগ পরিবৃতা, উন্নত কুচ যুগল সম্পন্না, সর্পিণী, ইচ্ছা মাত্র রূপধারিনী দেবীকে বন্দনা করি ।