ফলের নাম রানি মেওয়া। দেখতে কিছুটা কাস্টার্ড আপেলের মতো। ক্যানসার এবং মৃগী রোগীদের জন্য খুব উপকারি। খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টি। মহারাষ্ট্রের মালওয়া এবং রাজস্থানের কিছু অংশে রানি মেওয়া গাছ দেখা যায়। একাধিক ক্ষেত্রে এই গাছের কাঠ ব্যবহারের চল রয়েছে।
advertisement
রানি মেওয়া ফল গ্রীষ্মকালে পাকে। এর আকার অনেকটা নিম্বলির মতো। বাজারে খুব কমই দেখা যায়। গুণের কারণে একে ফলের রাজাও বলেন অনেকে। প্রাচীনকালে রাজারাজড়ারা এই ফল খেতে পছন্দ করতেন। সেখান থেকেই এর নাম রানি মেওয়া। অনেকে অবশ্য রাজদান বা রাজফল-ও বলেন।
স্বাস্থ্যের মহৌষধ: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক সুনীল গৌতম জানান, রানি মেওয়া নামের এই ফল শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালেই পাওয়া যায়। রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে এর গাছ পাওয়া যায়। এতে সব ধরনের ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। আয়ুর্বেদে এর নাম ‘খিরনি’। এতে প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ, কার্বোহাইড্রেট এবং উদ্ভিদ এস্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
আরও পড়ুন- Alert! বাগানে এই ৬ গাছ ভুলেও লাগাবেন না, সাপের উপদ্রবে প্রাণ ওষ্ঠাগত হতে পারে !
এর সেবনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীর ঠান্ডা থাকে। রানি মেওয়া অনেক ধরনের রোগ থেকেও রক্ষা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বক উজ্জ্বল রাখে। ফ্রি র্যাডিকেল ফলে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। ভারতের কিছু অঞ্চলে মৃত ব্যক্তির মুখে এই ফলের রস দেওয়ার প্রথা রয়েছে।
খিরনিতে প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানও রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য উপকারী। এই ফল খেলে অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিডনি, ফুসফুস ও হার্টের জন্য উপকারী বলে মনে করেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা। শরীরে জমে থাকা ময়লা (বিষাক্ত পদার্থ) অপসারণ করতে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে।