আরও পড়ুন: মানিকে 'ম্যাশ আপ'? শুনুন নন্দী সিস্টার্স-দের দুরন্ত ভাইরাল মাগে হিথে গানের ভিডিও...
রানাঘাটের স্টেশন চত্বর থেকে অতীন্দ্র চক্রবর্তীর হাত ধরে একদিন পারি জমিয়েছিলেন মুম্বইয়ের স্টুডিওতে। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি ২০১৯ সালে প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে বেজেছিল তার গান 'তেরি মেরি কাহানি' (Viral Video)। তবে নিজের কিছু বেফাস কার্যকলাপের জন্য হারিয়েছিলেন লাইমলাইট। ফের এক লহমায় বদলে গিয়েছিল জীবন। জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েও সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলিংয়ের অন্যতম পাত্র হয়ে উঠেছিলেন রানাঘাটের সু-গায়িকা (Ranu Mandal)।
advertisement
কিন্তু সুর যাঁর গলায়, কণ্ঠে জাদু, তাঁকে আর কতদিনই বা ট্রোলিং দিয়ে আটকে রাখা যায়। এবার আর লতা নয়, মহম্মদ রফির গান গেয়ে মাত করলেন রাণু মণ্ডল (Ranu Mandal)। ১৯৬৬ সালের এক যুগান্তকারী হিন্দি গান গেয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিলেন তিনি। কল্যাণজী আনন্দজীর সুরে রাজ ছবির এই গান আজও মাইলস্টোন হয়ে রয়েছে। রাণু মন্ডলের (Ranu Mandal) গায়কীতে সেই নস্ট্যালজিয়াই যেন এক নতুন মাত্রা পেল আরও একবার।
কিছুদিন আগেই মেন্টর হিমেশ রেশমিয়াকে নিয়ে করা এক অদ্ভুত মন্তব্যের জেরে বেজায় ট্রোলড হন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু তাই নয় অদ্ভুত মেক আপেও দেখা যায় তাঁকে। তবে সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video)হয়েছে যেখানে তাকে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে “আকেলে হ্যায় হাম, চলে আও” এই ষাটের দশকের পুরোনো হিন্দি গান গাইতে দেখা গেল তাঁকে। পরনে ছিল সাদামাটা একটি শাড়ি এবং গোটা গানটি গাওয়ার পর তিনি একগাল হাসি হেসেছেন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে। সেই অমলিন হাসিও চোখ এড়ায়নি নেটিজেনদের।
“বং অফিশিয়াল” নামক ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ পাওয়া এই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই তুমুল ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে রানু ভক্তদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৭ হাজারের বেশি মানুষ ভিডিওটিতে লাইক দিয়েছেন। বয়ে গেছে প্রশংসার বন্যা। ভিডিওটি প্রায় সাত দিন আগে ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়।
তবে হঠাৎ লাইম লাইটে চলে আসা রানাঘাটের স্টেশন চত্বরের অনামী শিল্পীকে নিয়ে বিতর্ক বরাবরের মতো এবারও উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনদের একদলের মন্তব্য তাকে নিয়ে পুনরায় বারাবারি করা হচ্ছে তিনি এই লাইমলাইটে যোগ্য নয়। অন্যদিকে এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার প্রতিভাকে সারা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে তাকে পরিচিতি পাইয়ে দেওয়ায় বেজায় খুশি তার অনুরাগীরা।