আরও পড়ুন– মাঝরাতে ট্রেনের টয়লেট থেকে অদ্ভুত আওয়াজ! RPF দরজা ভাঙতেই ভিতরে যা দেখা গেল…তাজ্জব সবাই!
জানা গিয়েছে যে মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ের খিলচিপুরের সোমওয়াড়িয়ায় এই বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। বিয়ে হচ্ছিল সাড়ম্বরেই, ফলে বিষয়টি চাপা পড়ে থাকেনি। নিজের এলাকায় আইন বহির্ভূত এই ঘটনার কথা জানতে পেরে স্তম্ভিত হয়ে যান ডিএম। সঙ্গে সঙ্গে কালেক্টর গিরিশ কুমার মিশ্র, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন আধিকারিক সুনীতা যাদব, খিলচিপুর থানার ইনচার্জ বিবেক শর্মা প্রমুখ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।
advertisement
আরও পড়ুন– আসছে ‘ফেনজল’ ! শীতের পথে বাধা হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়, এর অভিমুখ কোনদিকে? জেনে নিন
বিয়েবাড়িতে পৌঁছে তাঁরা কনের বয়স জিজ্ঞেস করে নিঃসন্দিগ্ধ হন যে এটি আদতেই নাবালিকার বিয়ে। জানা গিয়েছে যে ওই পরিবারে দুই কন্যাসন্তান রয়েছে, দুজনেই এখনও আইনত নাবালিকা। আইনি হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত এই বিয়ে আটকানো সম্ভব হয়েছে। তাঁরা পরিবারটিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে আইন মেনে ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত কন্যাসন্তানের বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
শুধু তাই নয়, এলাকায় বাল্যবিবাহ রোধেও সচেতন হয়েছে প্রশাসন। ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে খিলচিপুর ছোটমেলার মাঠে একটি গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছে। আহিরওয়ার সমাজের সেই অনুষ্ঠানে কোনও বাল্যবিবাহ যাতে না ঘটে, সেই বিষয়েও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সভাপতিকে ডেকে বোঝানো হয়েছে যে ৬৭ যুগলের সবার যেন বয়স সম্পর্কিত প্রমাণপত্র যাচাই করে বিয়ে দেওয়া হয়। অন্যথায় উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি, এই গণবিবাহের জন্য ডিএম-এর অনুমতিপত্র লাভও বাধ্যতামূলত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে ওই অনুষ্ঠানে যাঁদের বিয়ে হবে তাঁদের মধ্যে কেবল ৪৩ যুগলের আধার কার্ড রয়েছে, বাকিদের নথি যাচাইয়ের কাজ চলছে। এই নিয়ে ওয়ান স্টপ সেন্টারের কবিতা ভার্মা একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজনও করেছেন। সেখানে তিনি স্পষ্টতই বার্তা দিয়েছেন যে বাল্যবিবাহ এক সামাজিক অপরাধ, তা কোনও দিক থেকেই আইের চোখে বৈধ নয়।