TRENDING:

পাহাড়ের বুকে 'শিক্ষার টর্চ' জ্বালিয়েছিলেন এই মালতি মুর্মু, ভাইরাল হয়েছিলেন রাতারাতি, ফের তুললেন নয়া দাবি, ছড়াচ্ছে দাবানলের মতো

Last Updated:

সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বর্তমানে ভাইরাল মালতি মুর্মু। সর্বত্রই তাকে নিয়ে চর্চা। এবার সেই মালতি মুর্মুর মুখে শোনা গেল অঙ্গনওয়াড়ি ও স্বাস্থ্য পরিষেবার আর্জি।‌

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
জিলিংসেরেং, পুরুলিয়া, শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি: সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বর্তমানে ভাইরাল মালতি মুর্মু। সর্বত্রই তাকে নিয়ে চর্চা। আর তা হবে না বা কেন, অযোধ্যা পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামের এক গৃহবধূ অবৈতনিক পাঠশালা চালিয়ে শিক্ষার আলো জ্বালাচ্ছেন পড়ুয়াদের মধ্যে। এবার সেই মালতি মুর্মুর মুখে শোনা গেল অঙ্গনওয়াড়ি ও স্বাস্থ্য পরিষেবার আর্জি।‌
advertisement

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রাম জিলিংসেরেং। প্রায় ৯০-টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস এই গ্রামে। জনসংখ্যা আনুমানিক ৪৪০ জন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও নেই পাকা রাস্তা, নেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ফলে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুরা পুষ্টিকর খাবার ও পর্যাপ্ত যত্ন থেকে বঞ্চিত। গ্রাম থেকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র তেলিয়াভাসা প্রায় ৯-১০ কিমি দূরে এবং কোরেং উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রও নয় কিমি দূরে। রাতবিরেতে অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে চায় না এই গ্ৰামে। বন্যপ্রাণীর হামলার আশঙ্কাও থাকে সব সময়। আর এতেই গ্রামবাসীরা পড়ে যান বিপাকে।

advertisement

আরও পড়ুন: অঙ্ক না পারায় লাঠিপেটা, পাল্টা শিক্ষককে জুতোপেটা, রণক্ষেত্র স্কুল! কেন ঘটল এমন ঘটনা?

এই বিষয়ে একাধিকবার পুরুলিয়া প্রশাসনকে জানান হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন এমনটাই  অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এ বিষয়ে গ্রামের এক বাসিন্দা সুমিতা মান্ডি বলেন, তাদের এলাকায় না আছে কোনও সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা, না আছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। দ্রুত অঙ্গনওয়াড়ি ও স্বাস্থ্য পরিষেবার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

এ বিষয়ে মালতি মুর্মু বলেন, তাদের গ্রামে স্বাস্থ্যপরিষেবা ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নেই। এর ফলে অনেক সমস্যা হয়। তাই তিনি চান প্রশাসনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এ বিষয়ে বাঘমুন্ডির সিডিপিও সৌকত ভট্টাচার্য্যের বলেন, “শুধু জিলিংসেরেন নয়, এলাকার এরকম অনেক গ্রামে এই সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি। অনুমোদন এলেই সমস্যা মিটবে।”

advertisement

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা বিষয়টি নিয়ে এলাকার স্বাস্থ্য দফতরের  সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। এছাড়া অন্যান্য সমস্যাগুলোও গুরুত্বর সঙ্গে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

স্বাধীনতার এত বছর পরেও এই গ্রাম স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিষেবা থেকে একেবারেই উপেক্ষিত। কবে গ্ৰামবাসীদের সমস্যা সমাধান হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
পাহাড়ের বুকে 'শিক্ষার টর্চ' জ্বালিয়েছিলেন এই মালতি মুর্মু, ভাইরাল হয়েছিলেন রাতারাতি, ফের তুললেন নয়া দাবি, ছড়াচ্ছে দাবানলের মতো
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল