আদালতের রায়ে জানানো হয়েছে যে, নাবালিকার সঙ্গে সদ্য কুড়ির কোঠায় পা রাখা যুবকের ভালবাসার সম্পর্ক রয়েছে। তাই সব দিক বিবেচনা করে সদ্য যুবার একটি স্থিতিশীল এবং নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে জামিন মঞ্জুর করা হয় তাঁর।
advertisement
অভিযুক্ত যুবক অবশ্য ইতিমধ্যেই ৩০ দিন জেল হেফাজতে কাটিয়ে ফেলেছে। POCSO আদালত, এই জামিনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নির্ভর করেছিল বোম্বে হাইকোর্টের আদেশের উপর। এর আগে বোম্বে হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও যৌন পরিপক্কতা থাকতে পারে, সে দিক বিবেচনা করেই রায় দেওয়া উচিত।
POCSO আদালত তার রায়ে বলেছে, ‘বর্তমান মামলায় বোম্বে হাইকোর্টের পুরনো রায় সম্পূর্ণ প্রযোজ্য। শুধুমাত্র প্রেমের সম্পর্কে পরিবারের সম্মতি নেই বলে ২১ বছরের এক যুবককে জেলে আটকে রাখা যায় না। তাঁর কোনও অপরাধমূলক ইতিহাসও নেই। সামনে তাঁর সম্পূর্ণ ভবিষ্যৎ পড়ে রয়েছে। ফলে পেশাদার অপরাধীদের সঙ্গে তাকে সংশোধনাগারে রাখার দরকার নেই।’
এর আগে একই রকম একটি মামলায়, বোম্বে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, যৌন ইচ্ছা ব্যক্তি ভেদে আলাদা। কিশোর-কিশোরীদের যৌন আচরণের ধরণগুলি কোনও গাণিতিক সূত্র অনুযায়ী সংগঠিত হয় না। কারণ জৈবিক ভাবে শিশুরা যখন বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছয়, তারা তাদের যৌন চাহিদা বুঝতে শুরু করে। এখনকার শিশুরা যৌনতা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশি সচেতন। আজকের যুগে, তাদের কাছে যৌন সম্পর্ক নিয়ে জানার জন্য প্রচুর উপাদান রয়েছে।
বোম্বে হাইকোর্ট তার রায়ে বলেছিল, ‘এই বয়সে (বয়ঃসন্ধিকালীন) মেয়ে এবং ছেলে উভয়ই শারীরিক ভাবে উত্তেজিত হতে পারে এবং তাদের শরীরে এই ধরনের সম্পর্কের প্রয়োজন হতে পারে। এটি নিঃসন্দেহে কৌতূহলী এবং খুব আকর্ষণীয় চাহিদা।"
বোম্বে হাইকোর্ট তার রায়ে জানিয়েছিল কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেখতে হবে নাবালকের বয়স, ছেলেটির কোনও হিংসাত্মক কাজের ইতিহাস রয়েছে কিনা, বা সে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে কিনা, মেয়েটি বা তার পরিবারের কাউকে হুমকি দিতে পারে কিনা, জামিনে মুক্তি পেলে সে মামলার সাক্ষী ও সাক্ষ্যকে প্রভাবিত করতে পারে কিনা ৷