তারপর যা জানা গেল, তাতে হুঁশ উড়ে গিয়েছে বিমানকর্মীদের।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কোপা এয়ারলাইনসের একটি বিমান ফ্লোরিডার দিকে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই সেটিকে পানামা সিটিতে জরুরি অবতরণ করানো হয়। আর তার কারণ শুধুই ভুল বোঝাবুঝি।
আরও পড়ুন: পুজোয় এবার মদ কিনতে বিরাট সমস্যা হবে? লোকসানের আশঙ্কায় পুলিশের দ্বারস্থ আবগারি দফতর
advertisement
জানা গিয়েছে সকাল ৯টা ৩৬ মিনিট নাগাদ কোপা এয়ারলাইনসের বিমানটি পানামা সিটির টোকুমেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল। গন্তব্য ফ্লোরিডা। কিন্তু মাঝ আকাশেই শুরু হল সমস্যা। জানা গিয়েছে, ওই বিমানেরই এক যাত্রী বিমানের বিশ্রামাগারে কোনও ‘সন্দেহজনক’ বস্তু দেখতে পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়। বিমানকর্মীরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: বাজারে হয়তো তাকিয়েও দেখেন না লাউ শাক, উপকার জানলে এখনই কিনতে ছুটবেন!
ফলে চালক অবিলম্বে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একই সঙ্গে তিনি অনুমতি চান যাতে বিমানটিকে পানামা সিটিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। ওই বিমানটিতে তখন ছিলেন ১৪৪ জন যাত্রী। অবশেষে সকলকে নিয়ে টোকুমেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদেই জরুরি অবতরণ করে বিমানটি।
তারপর শুরু হয় তল্লাশি। খোঁজ মেলে ‘সন্দেহজনক বস্তু’টির। পরীক্ষা করে দেখা যায় ততখানি সন্দেহজনক বা ভয়ঙ্কর ছিল না সেই বস্তুটি। আদতে সেটি ছিল একটি অ্যাডাল্ট ডায়াপার। মনে করা হচ্ছে বিমানেরই কোনও বয়স্ক যাত্রী সম্ভবত অসাবধানতা বশত সেটি ফেলে গিয়েছিলেন।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দলের এক মুখপাত্র, হোসে কাস্ত্রো পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জরুরি অবতরণের পর বিমানটিকে বিচ্ছিন্ন একটি রানওয়েতে রাখা হয়েছিল। কারণ বোমাতঙ্ক তখনও জারি ছিল। সমস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বিমান থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়।
তারপর পুলিশ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর বাহিনী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিমানটি পরীক্ষা করে দেখে। সেই পর্বেই নিঃসংশয় হওয়া যায় সন্দেহজনক বস্তুটি আদতে অ্যাডাল্ট ডায়াপার। সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিকেলের দিকে ফের বিমানটি যাত্রা করে ফ্লোরিডার উদ্দেশে। সন্ধ্যা ৭ টার আগে টাম্পায় পৌঁছয়।