খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে এই ঘটনাটি। কারণ ট্রান্সআটলান্টিক ওই উড়ানে ককপিটের দরজা খুলে দিয়েছিলেন ওই উড়ানের চালক। বিষয়টি বিমানকর্মীদের নজরে এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করতে থাকেন তাঁরা। তবে বিমানচালক যে কারণ দর্শালেন, তা একেবারেই স্বাভাবিক ছিল না। আর সেই কারণে শাস্তিস্বরূপ ডিউটির মাঝখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ওই পাইলটকে।
advertisement
ককপিটের দরজা খোলা:
দ্য সান-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, বিমানকর্মী এবং যাত্রীরা আচমকাই লক্ষ্য করেন যে, ককপিটের দরজা খোলা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ককপিটের দরজা খোলা থাকার কারণ জানার চেষ্টা করতে থাকেন তাঁরা। দীর্ঘ সময় ধরেই তা খোলা অবস্থায় ছিল। আর তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সকলে। বিমানকর্মীরা দেখেন যে, ককপিটের দরজা বন্ধ না করেই বিমান ওড়াচ্ছিলেন পাইলট। তবে এর পিছনে থাকা কারণটি ছিল কিন্তু আরও চিত্তাকর্ষক। আসলে পাইলট যে বিমান ওড়াচ্ছিলেন, সেটা যেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান, সেই কারণেই ককপিটের দরজা খোলা রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। আসলে পাইলটের পরিবারের সদস্যরাও ওই বিমানেই ছিলেন। বিমানকর্মী এবং কিছু যাত্রী এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য ডিউটি থেকে সরানো হয়েছে বিমানচালককে।
আরও পড়ুন– দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সপাটে চড় ! নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত রেখা গুপ্তা
যাত্রীদের সুবিধা:
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সদস্যরা পাইলটের বিরুদ্ধে আমেরিকায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার জেরে কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছেন। একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন যাচ্ছিল BA174 উড়ানটি। যা অবতরণ করার কথা ছিল গত ৮ অগাস্ট ২০২৫ তারিখে।পাইলটকে সাসপেন্ড করার পরেই তা বাতিল করা হয়। যদিও উড়ান বাতিল হওয়ার জেরে বিপদের মুখে পড়েন শয়ে শয়ে যাত্রী। সেই কারণে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে বিকল্প উড়ানের ব্যবস্থাও করতে হয়েছে। শোনা যাচ্ছে যে, বেশিরভাগ যাত্রী নিজেদের নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা আগেই লন্ডনে পৌঁছে গিয়েছেন। পরে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চালানো হয়েছে। উড়ানের কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। এর পরে অবশ্য বিমানচালককে আবারও চাকরিতে বহাল করা হয়েছে।