ভাইরাল ভিডিওতে যা দেখা গেল
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ব্রাজিলের কনটেন্ট ক্রিয়েটর বিয়াত্রিজ লোপেস (Beatriz Lopes) নিজের বাগানে বসে আছেন তাঁর পোষ্য বোয়া কনস্ট্রিক্টর (Boa Constrictor) সাপটির পাশে। তিনি সাপটির গায়ে হাত রাখতেই হঠাৎ সাপটি মাথা তুলে আক্রমণাত্মক ভঙ্গি নেয়। মুহূর্তে চমকে ওঠেন বিয়াত্রিজ, দ্রুত পিছিয়ে যান—তবে সৌভাগ্যবশত তিনি অক্ষত থাকেন।
advertisement
এই কারণেই ফ্রিজে বরফ জমে; সহজ কৌশল কাজে লাগিয়ে মুহূর্তের মধ্যে বরফ গলিয়ে নিন, দেখে নিন কী করতে হবে!
বাথরুমেই ৪ বার প্রসব! শিশুদের ‘শেষ’ করে আলমারিতে রাখা… বছরের পর বছর কী করলেন মা?
advertisementView this post on Instagram
A post shared by Beatriz Lopes (@_bia.lope
বোয়া কনস্ট্রিক্টর মূলত মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার সাপ, যারা বিষধর নয়। এরা শিকারকে চেপে ধরে মেরে ফেলে, কিন্তু সাধারণত মানুষকে আক্রমণ করে না। এই প্রজাতির সাপ সর্বোচ্চ ১৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং সাধারণত ছোট প্রাণী শিকার করে। পাইথনের মতো ডিম পাড়ে না, বরং জীবন্ত সন্তান জন্ম দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ এই সাপকে ভয় পায় মূলত তাদের আচরণ না বোঝার কারণে, বিশেষ করে যখন তারা চামড়া বদলের (shedding বা ecdysis) পর্যায়ে থাকে।
বিয়াত্রিজ পরে ভিডিওর ব্যাখ্যা দেন। তিনি জানান, সেই সময় তাঁর সাপটি খোলস ছাড়া বা চামড়া বদলের প্রক্রিয়ায় ছিল। এই সময় সাপের চোখের উপর একটি সুরক্ষামূলক স্তর পড়ে, যার ফলে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।
তিনি বলেন,
“চামড়া বদলের সময় সাপের শরীরের রঙ মলিন হয়ে যায়, চোখও ঘোলা দেখায়। তখন তারা নিজেদের দুর্বল মনে করে এবং স্বাভাবিকভাবে আত্মরক্ষামূলক আচরণ করে।”
ভিডিওতেও স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, সাপটির চোখে সেই ঘোলা স্তর ও চামড়ার নিস্তেজ ভাব—যা প্রমাণ করে এটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা প্রতিক্রিয়া, আক্রমণ নয়।
‘মানুষের স্পর্শে অভ্যস্ত করানোই নিরাপত্তার মূল চাবিকাঠি’
বিয়াত্রিজ আরও জানান, যদি নিয়মিতভাবে নিরাপদ উপায়ে সাপকে মানুষের স্পর্শে অভ্যস্ত করা যায়, তাহলে তাদের ভয় বা প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া অনেক কমে যায়। তবে প্রতিবারই সতর্কতা ও তত্ত্বাবধান জরুরি।
এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে নানা প্রতিক্রিয়া— কেউ বলেছেন এটি বন্যপ্রাণীকে সম্মান করার শিক্ষা, কেউ বা অতিরিক্ত পোষ মানানোর বিপদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

