জানা গিয়েছে যে ঘটনাটি হরিয়ানার পানিপতের। সেখানে সরস্বতী বিদ্যামন্দির স্কুলে সংস্কৃতের শিক্ষিকা অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে ছাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। পুরো বিষয়টি ঘটেছে শিক্ষার্থীদের কলমা পড়ানোকে কেন্দ্র করে।
advertisement
সরস্বতী বিদ্যা মন্দির স্কুলটি হরিয়ানার পানিপতে ২০০২ সাল থেকে চলছে। রোজকার মতো সে দিনও মর্নিং সেকশন শেষ হওয়ার পর প্রার্থনা দিয়ে ডে সেকশনের ক্লাস শুরু হয়ে যায়। সব কিছুই ছিল ঠিকঠাক। সমস্যা শুরু হয় স্কুল ছুটির পরে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে এলে।
অভিভাবকরা অবাক হয়ে সন্ধ্যাবেলায় দেখেন যে শিক্ষার্থীরা গুনগুন করে কলমা পাঠ করছে। অষ্টম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থীকে কলমা পাঠ করতে শোনেন অভিভাবকরা। তাঁরা জানতে চান সন্তানদের কাছে যে কলমা পড়া তারা কোথায় শিখেছে। শিক্ষার্থীরা সাফ জানায় যে স্কুলে সংস্কৃত ক্লাসে তারা তা শিখেছে।
ঘটনাটি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। সন্ধ্যা থেকে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। অবশেষে তাঁরা স্কুল ঘেরাও এবং অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার সেই মতো তাঁরা সমবেত হন সরস্বতী বিদ্যা মন্দিরে।
তবে, অভিভাবকরা অশান্তিপূর্ণ আচরণ করেননি। তাঁরা বিষয়টি প্রশাসনের কানেও তোলেন। পুলিশও ওই দিন স্কুলে উপস্থিত ছিল। অভিভাবকরা সরস্বতী বিদ্যা মন্দিরের অধ্যক্ষ ইন্দুর কাছে ওই শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের আর্জি জানান। তিনি সেই দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
জানা গিয়েছে যে ওই শিক্ষিকা বছরখানেক হল সরস্বতী বিদ্যা মন্দিরে পড়াচ্ছেন। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, সেই দিন স্কুলে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষিকার কাছে জানতে চেয়েছিল হিন্দুরা যেমন পূজার্চনার সময়ে মন্ত্র পড়েন, আরতি করেন, ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা কী করেন! সেই কৌতূহল নিবৃত্ত করতেই ওই শিক্ষিকা তাঁদের কলমা পাঠ করে শোনান এবং তা শেখান।
ওই শিক্ষিকার নাম নিয়েও অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর নাম মাহি। অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন ওই শিক্ষিকার পুরো নাম ব্যবহার করা হয় না। অধ্যক্ষ শুধু এটুকু বলেছেন যে পুরো নাম বেশ লম্বা এবং অনেকের কাছে তা বিভ্রান্তিকর হয়ে উঠতে পারে, সেই জন্য শুধু স্কুলের রেজিস্টারেই তা রাখা হয়েছে।