উভয় শিক্ষার্থীই তাঁদের কোর্সের শেষ পর্যায়ে রয়েছেন। তাঁদের ভাড়া বাবদ খরচ প্রতি বছর £৯,০০০ থেকে £১০,০০০ (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০ লক্ষ থেকে ১১ লক্ষ টাকা) পর্যন্ত পৌঁছেছিল। প্রথম বছরে, লিওকে হোস্টেলের জন্য £৭,৫০০ দিতে হয়েছিল, দ্বিতীয় বছরে তিনি একটি শেয়ারড বাড়িতে থাকায় £৬,৫০০ ভাড়া দিতে হয়েছিল। শেষ বছরে তাঁকে £১০,০০০ ভাড়া দিতে হত, যা তাঁর পক্ষে অসম্ভব ছিল। কিটের অবস্থাও প্রায় একই ছিল। প্রথম দুই বছরে তিনি প্রতি ক্ষেত্রে £৪,৫০০ দিয়েছিলেন এবং শেষ বছরে তাঁকে £৯,০০০ দিতে বলা হয়েছিল।
advertisement
লিও জানান, আগের হোস্টেলে তাঁকে আট জনের সঙ্গে থাকতে হত, ফলে প্রাইভেসি বলে কিছু সেখানে ছিল না। সব থেকে বড় কথা এত বেশি টাকা দেওয়াও সম্ভব ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে তিনি ২০২৪ সালের জুন মাসে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে ৫,০০০ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫.৯ লক্ষ টাকা) দিয়ে ৪৪ ফুট দীর্ঘ এই বাসটি কিনেছিলেন । বাসটি চলার মতো অবস্থায় ছিল না, তাই লিভারপুল থেকে অক্সফোর্ডে এটি টেনে আনতে তাঁকে ১,৩০০ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১.৫ লক্ষ টাকা) দিতে হয়েছিল। এখন তিনি পার্কিং এরিয়ায় বাসটি রাখেন এবং প্রতি সপ্তাহে ৭৩ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮,৬৯০ টাকা) ফি দেন। এই হিসেবে তিনি বছরে প্রায় ২,৫০০ থেকে ৩,৫০০ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২.৯ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা) সাশ্রয় করবেন।
(Photo: Emma Trimble/SWNS)
বাসটিকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য দু’জনে নিজেরাই সংস্কার শুরু করেন। তাঁরা যাত্রীদের আসন, চালকের আসন, টেবিল, উপরের দেয়াল এবং সিলিংয়ের কিছু অংশ সরিয়ে ফেলেন। হিটিং এবং কুলিং সিস্টেমও সরিয়ে ফেলা হয়, যদিও তাঁরা বাসের আসল চামড়ার সিট, আলমারি, টিভি এবং সাউন্ড সিস্টেম রেখে দিয়েছেন। এখন তাঁরা বিদ্যুতের জন্য জেনারেটর এবং ব্যাটারি ব্যবহার করবেন, ওভেন এলপিজি সিলিন্ডারে চলবে। এই মুহূর্তে কোনও বাথরুম নেই, তাই তাঁরা স্নান করতে বন্ধুদের বাড়িতে যাচ্ছেন। লিও এবং কিট বলেন যে বাসটিকে বাসযোগ্য করে তোলা অবশ্যই তাঁদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, তবে একই সঙ্গে এটি একটি মজার অভিজ্ঞতাও। লিও বলেন, ‘‘আমি টাকা ধার করে বাসটি কিনেছি এবং আমরা পুরনো জিনিসপত্র তুলে এটি ব্যবহার করছি। মেঝের কাজ এখনও বাকি আছে, দেওয়াল মেরামত করা, রান্নাঘর এবং টয়লেট বসানোও বাকি, কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী যে সেগুলো সব করে ফেলব।’’