আসলে এ ছবিটি খুব প্রাচীন একটি দৃষ্টি বিভ্রম সৃষ্টিকারী ছবি। দৃষ্টি বিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশন এমন এক বিষয় যা দেখার আঙ্গিক বদলে দিতে পারে। যা দেখা যাচ্ছে তা আসলে নেই, অথবা, যা রয়েছে তা দেখাই যাচ্ছে না—এমন বিভ্রম তৈরি করতে পারে এ ধরনের ছবি বা দৃশ্য।
গবেষণা বলছে এই অপটিক্যাল ইলিউশন শারীরিক, শারীরবৃত্তীয় এবং জ্ঞানীয়— তিন রকমের বিভ্রম তৈরি করতে পারে। অপটিক্যাল ইলিউশন ছবিগুলিও মনোবিশ্লেষণের ক্ষেত্রের বড় ভূমিকা তৈরি করতে পারে। এ থেকে বোঝা যেতে পারে কোনও ব্যক্তি কী ভাবে ওই ছবিগুলি উপলব্ধি করছেন। এ রকমই একটি চাতুর্যপূর্ণ ছবিতে দেখা যায় তিনটি শিশুকে। অথচ, এই ছবির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে আরও দু’টি শিশু।
advertisement
বলা হয়, শুধুমাত্র ক্ষুরধার বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষই এই ভিনটেজ ছবিতে লুকোনো শিশু দু’টিকে খুঁজে বের করতে পারেন।
ছবিটি আসলে একটি পুরনো দিনের বিজ্ঞাপনের স্কেচ। যেখানে তিনটি শিশু ও একটি কুকুরকে দেখা যায়। শিশু তিনটির সঙ্গে রয়েছে একটি কার্ট। বোঝা যায়, ওই কার্টের ভিতর হয়তো আরও একটি খুদের থাকার কথা ছিল। কিন্তু পিছনে থাকা বালিকার ছবিটি ক্রন্দনরত। মনে হয় তাদের সঙ্গে থাকা একটি শিশু হারিয়ে গিয়েছে। সঙ্গে আরও একটি বালিকাও নিখোঁজ।ছবিটিতে দাবি করা হয়েছে উচ্চ মেধা সম্পন্ন ব্যক্তিরা মাত্র ১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই লুকনো শিশু দু’টিকে খুঁজে পেতে পারেন।
এই ছবির ধাঁধাঁ সমাধান করার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোনও ব্যক্তির আইকিউ। ছবিতে লুকনো শিশু দু’টিকে খুঁজে বের করা আরও কঠিন কারণ ছবিটি সাদা-কালো। তবে যদি খুব নিবিড় ভাবে ছবিটি দেখা যায় তা হলে দেখা যাবে, কুকুরটির ডানদিকে একটি বালিকা দৌড়ে আসছে। অন্যদিকে ক্রন্দনরত বালিকার এপ্রোনে ছোট্ট শিশুটির মুখাবয়ব দেখা যেতে পারে।
হাজার হাজার মানুষ এই স্কেচের মধ্যে তিনটি বালিকা ছাড়া অন্য দু’টি লুকানো শিশুকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পারেননি। গবেষণা বলছে যত বেশি কঠিন ধাঁধা নিয়ে অনুশীলন করা যায়, মস্তিষ্ক তত বেশি ক্ষুরধার হয়ে ওঠে।