যাঁদের গ্যারাজে একটা অ্যাম্বাসেডর গাড়ি ছিল, সযত্নে সেটিকে আগলে রেখে দিয়েছিলেন তাঁরা। তাদের মধ্যে একজন গৌতম দাস। পুরোনো জিনিস আগলে রাখার অভ্যাস তার চিরদিনের। গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলেও নিজের শখের এবং ভালবাসার অ্যাম্বাসেডর গাড়িকে নিজের রেস্টুরেন্টের ছাদে স্থান দিয়েছেন তিনি। গৌতম বাবুর কথায়, ভারতীয় রোডের কিং ছিল এই অ্যাম্বাসেডর গাড়ি। দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি থেকে বড় বড় নেতা মন্ত্রী সকলেই এই অ্যাম্বাসেডর গাড়িতেই যাতায়াত করত। কিন্তু এখন গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাস্তায় আর দেখা মেলে না এই গাড়ির।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যথার ওষুধ দিয়ে কাপড় কাচুন! ওয়াশিং মেশিনে একটা ওষুধ ফেলে দিন! তারপর দেখুন কী হয়
তাই নতুন প্রজন্ম যেন এই অ্যাম্বাসেডর গাড়ি সম্পর্কে জানতে পারে তাই এমন কাজটি করেছেন তিনি। গৌতম বাবু বলেন, ” এই গাড়ির সঙ্গে যে কত মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে তা সবার জানা দরকার । আমি আমার বন্ধুকে বলে ক্রেন দিয়ে আমার ভালবাসার এই গাড়ি টিকে রেস্টুরেন্টের ছাদে বসিয়েছি। স্বাভাবিক ভাবেই লোকের চোখে পড়ছে। এবং কৌতূহলের বসে তারা এই গাড়ি সম্পর্কে জানতে পারছে।” প্রচুর লোক এখন গাড়ি দেখতে আসছে। গৌতম বাবু প্রিয় অ্যাম্বাসেডর আজ সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজার থেকে নকল মুরগি কিনছেন না তো? কী করে চিনবেন আসল দেশি মুরগি? ঠকার আগে জানুন
উল্লেখ্য, হিন্দুস্তান মোটরসের অ্যাম্বাসেডর তৈরি হত কলকাতায় উত্তরপাড়ার কারখানায়। কয়েক দশক ধরে ভারতে বিক্রির নিরিখে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছিল অ্যাম্বাসেডর।২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তরপাড়ার কারখানা থেকে শেষ অ্যাম্বাসেডর তৈরি হয়েছিল। এর পরে চাহিদার মন্দা ও সংস্থার ঘাড়ে বিপুল ঋণের বোঝা থাকায় উত্তরপাড়ার কারখানার ঝাঁপ বন্ধ করে হিন্দুস্তান মোটরস।
অনির্বাণ রায়