পশ্চিম মেদিনীপুরের মাদপুরের কালিয়াড়া গ্রামের ছোট্ট মেয়ে ঐশী পাত্র। ঐশীর বাবা রঞ্জিত পাত্র একটি মিলে কাজ করেন। মা বুল্টি পাত্র সামান্য গৃহবধূ। রঞ্জিত বাবু এবং বুল্টির দুই মেয়ে। ছোট মেয়ে ঐশী। বয়স সবেমাত্র তিন বছর পাঁচ মাস। এ বয়সে ভাল করে শেখেনি বিদ্যালয়ের পড়া। তবে অনায়াসে বলতে পারে একাধিক মন্ত্র।
advertisement
সূর্যপ্রণাম মন্ত্র হোক, কিংবা কৃষ্ণ প্রণাম বা সরস্বতীর মন্ত্র তার যেন ঠোঁটস্থ। মায়ের কাছ থেকে শিখেছে এই মন্ত্রগুলো। আলতো আলতো ভাবে কথা বলা মেয়েটির মুখে, এই মন্ত্র উচ্চারণ যেন আলাদাভাবে প্রাণ ফিরে পায়। প্রসঙ্গত ছোট থেকেই তার ঝোঁক বিভিন্ন দেবদেবীর মন্ত্রের প্রতি।
পড়াশোনা খেলাধুলার পাশাপাশি নাচের প্রতি আগ্রহ রয়েছে তার। মায়ের পুজার্চনা শুনেই শিখেছে এই সকল মন্ত্র গুলো। এক থেকে স্পষ্ট উচ্চারণ, অন্যদিকে সঠিক মন্ত্র পাঠ সকলের কাছে এক বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। অভাব সত্ত্বেও মেয়ের ইচ্ছেকেই প্রাধান্য দিয়েছে বাবা মা। ছয় জনের সংসারে, এই মেয়ের প্রতিভা যেন সকলের কাছে প্রশংসার।
রঞ্জন চন্দ