আইএএস অফিসার হরিশঙ্কর মিশ্রর মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর সম্পত্তি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, হরিশঙ্কর এক মহিলাকে তাঁর বিলাসবহুল প্রাসাদ দিয়ে গিয়েছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষ এখন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আগের ট্রান্সফার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই বেঁধেছে যাবতীয় গণ্ডগোল।
advertisement
হরিশঙ্কর মিশ্র ছিলেন প্রমোটেড আইএএস অফিসার। ২০১৪ সালে অবসর নেন। ওই বছরেই ১১ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। পেটের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর শিবা নামের এক মহিলা সরকারি অফিসে গিয়ে বাড়ির তথ্য দিয়ে তা নিজের নামে ট্রান্সফারের আবেদন করেন।
আবেদনের সময় তিনি হরিশঙ্করের সঙ্গে তাঁর ম্যারেজ সার্টিফিকেট এবং ডেথ সার্টিফিকেটও জমা দেন। আবেদন গ্রহণও করেন সরকারি কর্তারা। সেই মতো কাজ শুরু হয়। কয়েক দিনের মধ্যে ওই মহিলার নামে হরিশঙ্করের বাড়ি ট্রান্সফারের অর্ডার দেওয়া হয়।
এই সময়ই গোল বাঁধল। অনিতা মিশ্র নামে আরেক মহিলা নিজেকে হরিশঙ্কর মিশ্রর স্ত্রী দাবি করে বসলেন। নয়ডা অথরিটির কাছে তিনি ম্যারেজ সার্টিফিকেট, ডেথ সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য নথিপত্রও জমা দিলেন। তাঁর দাবি ২৭ বছর আগে হরিশঙ্করের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। সরকারি অফিসারদের মাথায় হাত। কে আসল স্ত্রী? বিভ্রান্তি না কাটা পর্যন্ত ট্রান্সফার প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন– নেদারল্যান্ডস থেকে ফিরে ঘুমোচ্ছিলেন মনমোহন সিং, একটা ফোন কলই বদলে দিল ভারতের অর্থনীতি
কিন্তু বিষয়টা এখানেই থামল না। কয়েকদিনের মধ্যে নয়ডা অথরিটির দফতরে আরেক মহিলা এসে নিজেকে হরিশঙ্কর মিশ্রর মেয়ে বলে দাবি করে জানালেন, তাঁর মা কুশীনগরে থাকেন, তিনিই হরিশঙ্করের আসল স্ত্রী।
সব মিলিয়ে বিভ্রান্তি চরমে। সমস্যা মেটাতে হরিশঙ্কর মিশ্রের যাবতীয় সম্পত্তি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নোয়েডা অথরিটির এজিএম জানিয়েছেন, আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। নথিপত্র খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান যে, ২ জন মহিলা নিজেকে প্রয়াত আইএএস অফিসার হরিশঙ্কর মিশ্রর স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। আরেকজন মহিলা নিজেকে মেয়ে বলে পরিচয় দিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের দাবির স্বপক্ষে নথিপত্র জমা দিয়েছেন। সেই সব নথিপত্র খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।