মুকিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল শবনম নামে এক মহিলার। সব ভালই চলছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে এই সম্পর্ক মুকিমের জন্য বোঝা হয়ে ওঠে। কারণ ততদিনে স্ত্রী সন্তানেরা এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা এর বিরোধিতা করে। বাড়িতে প্রতিদিন ঝগড়া হত। অশান্তি হয়ে উঠেছিল রোজকার ব্যাপার। মুকিমের স্ত্রী বারবার তাকে এই সম্পর্ক শেষ করার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করত। তারপরেই সে এমন এক ভয়াবহ পরিকল্পনা করল যা কেউ ভাবতেও পারবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে গাড়ি চালানো শেখাচ্ছিলেন স্বামী, হঠাৎ বড়সড় বিপত্তি! সাতসকালে শিউরে উঠল চুঁচুড়া
অভিযোগ, শবনমের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুকিব শবনমকে ভাড়া বাড়িতে ডাকে। সেই রাতে শবনম ঘরে আসার পরেই মুকিম ছুরি দিয়ে ভয়ঙ্কর এক আক্রমণ করে। নির্মমভাবে কোপাতে থাকে, গলা কেটে হত্যা করে। কিন্তু গল্পের শেষ এখানে নয়। ইকোটেক-৩ থানার পুলিশ চৌগানপুর গোলচত্বরের কাছে রুটিন চেকিং করছিল। রাস্তাঘাট জনশূন্য, পুলিশ দেখতে পায় একজন মোটরসাইকেল আরোহী দ্রুত গতিতে তাদের দিকে আসছে। কার্যকলাপ সন্দেহজনক মনে হয়। তবে ইঙ্গিত করলেও থামেনি সেই আরোহী। বরং তার পালসার মোটরসাইকেলটি দ্রুত ঘুরিয়ে সার্ভিস রোডের দিকে দৌড়াতে শুরু করে। প্রথমে সে তার মোটরসাইকেল রাস্তার ধারে রেখে আত্মগোপনের চেষ্টা করে। না পারায় শেষে পুলিশের উপরেই গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও।
পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। শবনমকে যে ছুরি দিয়ে হত্যা করেছিল তা উদ্ধার করা হয়েছে। আহত মুকিমকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুকিম তার অপরাধ স্বীকার করে জানায়, শবনমের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, কিন্তু পরিবারের বিরোধিতার কারণে সে শবনমের থেকে পরিত্রান চাইছিল। পুলিশ সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করেছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা শুরু করেছে।