নতুন বছর শুরু হলে অনেকেই রেজোলিউশন বা শপথ গ্রহণ করেন। নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আমরাও এই বছরের শুরুতে কিছু রেজোলিউশন নেব।
আরও পড়ুন- বিজ্ঞাপন ছুঁয়ে নিল মন, ছেলেকে ফেরাতে বাবা মায়ের মন ছুঁয়ে যাওয়া Ad. সুপার Viral..
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে
এই শপথ নিতে হবে যে বেশি করে শাকসবজি, ফল, দানাশস্য, বাদাম, বিভিন্ন প্রকারের বীজ খাব। চেষ্টা করতে হবে প্রসেস করা প্যাকেটজাত খাবার যেমন পাউরুটি, চিজ, মাংস এসব এড়িয়ে চলতে।
advertisement
ডায়েট নিয়ে সচেতন হতে হবে
চলতি হাওয়ার পন্থী হয়ে চটজলদি ওজন কমানোর ডায়েট অনুসরণ করলে হবে না। বরং এমন দীর্ঘস্থায়ী ডায়েট পরিকল্পনা করতে হবে যা ওজন কমে যাওয়ার পরেও অনুসরণ করা যায়। অভুক্ত থেকে বা আধপেটা খেয়ে কোনও ডায়েট হয় না এটা মাথায় রাখতে হবে।
ভিটামিন D বেশি করে গ্রহণ করতে হবে
বেশী করে ভিটামিন D হাড়ের স্বাস্থ্য এবং ইমিউন সিস্টেমের জন্য প্রয়োজনীয়। প্রতি দিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসতে হবে এবং দরকারে ভিটামিন D সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।
নিজেকে সক্রিয় রাখতে হবে
বাড়ির কাজ হোক বা এক্সারসাইজ, সারা দিন নিজেকে সক্রিয় রাখতে হবে যাতে রক্ত চলাচল কোনও ভাবে ব্যহত না হয়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে হবে
প্রতি দিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোতে হবে। এতে শরীর ও মন ঝরঝরে থাকবে।
আরও পড়ুন- স্বভাব প্রেমী না স্বেচ্ছাচারী? আপনি ঠিক কেমন? জুতোর মাপই বলে দেবে জীবনের রহস্য!
মানসিক চাপ কমাতে হবে
শরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকে মন। তাই মানসিক চাপ সমস্ত শারীরিক সমস্যার উৎপত্তি হয়। আগামী বছরে চেষ্টা করতে হবে যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা থেরাপির মাধ্যমে চাপমুক্ত হওয়ার।
মর্নিং রুটিন তৈরি করতে হবে
একটি মর্নিং রুটিন করে রাখা মানে নিজেকে সবার থেকে এগিয়ে রাখা ও সম্মান দেওয়া। সারা দিনের দৌড়ঝাঁপ শুরু হওয়ার আগে নিজেকে সাজিয়ে-গুছিয়ে নেওয়ার জন্য এটা প্রয়োজন।
সারা দিনের কাজের তালিকা করতে হবে
মাঝে মাঝে নিজের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এতে নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়। নিজের সারা দিনের কাজের তালিকা তৈরি রাখতে হবে এবং দেখতে হবে যে কোন কাজ ঠিক ভাবে হচ্ছে আর কোনটা হচ্ছে না।
দৈনিক কাজের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে
প্রতি দিন নিজের উদ্দেশ্য সেট করলে চিন্তাশক্তি বাড়ে। এটি আরও ভালো কাজের জন্য প্রেরণা ও উৎসাহ দেয়।
প্যাশন ছেড়ে নিখুঁত হওয়ার দিকে মন দিতে হবে
যে কাজই করা হোক, সেটা যেন নিখুঁত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যে কোনও কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং আরও বেশি ভালো কাজ করার উৎসাহ পাওয়া যাবে।