NEET UG ৭২০-র মধ্যে ৭০৫ নম্বর: সাফল্যের পথে পালকের যাত্রাপথটা খুব একটা মসৃণ ছিল না। একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই NEET পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন তিনি। অনলাইন ক্লাসের সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। কঠোর অধ্যবসায়ের সঙ্গে পড়াশোনাটা চালিয়ে গিয়েছেন। আর কঠোর পরিশ্রম এবং ডেডিকেশনই পালকের সাফল্যের চাবিকাঠিতে পরিণত হয়েছে।
advertisement
প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে পড়াশোনা: পড়াশোনা করার জন্য একটা রুটিন বানিয়ে নিয়েছিলেন পলক। প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতেন। এর পাশাপাশি নিজেও প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতেন। এর পাশাপাশি নিয়মিত অনুশীলন এবং মক টেস্ট তো ছিলই। প্রতিটি টেস্টেই ৬০০-র বেশি নম্বর পেয়েছিলেন পলক। আর এটাই তাঁর কঠোর পরিশ্রমের পরিচায়ক হয়ে ওঠে। পলকের কথায়, NEET পরীক্ষায় সাফল্য পেতে গেলে টানা ২ বছর কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে।
সব সময় পাশে ছিলেন মা: পলকের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁর মা। প্রতিটি পর্যায়ে মেয়ের পাশে থেকেছেন এবং তাঁকে অনুপ্রেরণাও জুগিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, পলকের এই হাল না ছাড়া মনোভাব, এর পিছনেও রয়েছেন তাঁর মা। আসলে পলকের মা সব সময় তাঁকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে গিয়েছেন এবং হাল না ছেড়ে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। NEET পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা বা ফিজিক্সে পলক ১৮০-র মধ্যে ১৮০ নম্বর পেয়েছেন। এটাই তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব এবং ডেডিকেশন প্রমাণ করে। নিয়মিত অনুশীলন এবং মজবুত ভিত্তির ফলেই সাফল্যের স্বাদ উপভোগ করতে পেরেছেন পলক।
NEET UG পরীক্ষায় সাফল্য: কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের জোরে NEET UG পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছেন পলক। বর্তমানে এইমস ভোপালে পড়াশোনা করছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, বর্তমানে এমবিবিএস-এর দ্বিতীয় বর্ষে রয়েছেন তিনি। আর সব শেষে এটুকুই বলা যায় যে, সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন পলক। বিশেষ করে যাঁরা মেডিক্যাল ফিল্ডে নিজেদের কেরিয়ার বানাতে চান, তাঁদের জন্যও এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি।