ভারতের ওয়াকফ বোর্ডে সবথেকে বেশি জমি কারা দান করেছিলেন? তালিকায় শীর্ষে কারা রয়েছেন, সেটাই দেখে নিন একনজরে

Last Updated:
Who Donated Most Land To Waqf Board In India: ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিক হিসেবে স্বীকৃত ওয়াকফ বোর্ড। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যা হিসেব, তা থেকে জানা যাচ্ছে যে, ওয়াকফ বোর্ডের রেজিস্টার্ড স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৭২,০০০।
1/10
Author: Sachin Srivastava: ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিক হিসেবে স্বীকৃত ওয়াকফ বোর্ড। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যা হিসেব, তা থেকে জানা যাচ্ছে যে, ওয়াকফ বোর্ডের রেজিস্টার্ড স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৭২,০০০। একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ওয়াকফ বোর্ডের মালিকানাধীন মোট জমির পরিমাণ ৯৪০,০০০ একর ছাড়িয়ে যাবে। (Representative/PTI File)
Author: Sachin Srivastava: ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিক হিসেবে স্বীকৃত ওয়াকফ বোর্ড। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যা হিসেব, তা থেকে জানা যাচ্ছে যে, ওয়াকফ বোর্ডের রেজিস্টার্ড স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৭২,০০০। একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ওয়াকফ বোর্ডের মালিকানাধীন মোট জমির পরিমাণ ৯৪০,০০০ একর ছাড়িয়ে যাবে। (Representative/PTI File)
advertisement
2/10
এই সম্পত্তির আওতায় রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান এবং ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক ব্যবহারের জন্য মনোনীত অন্যান্য জমি। ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তি মূলত দান করেছেন মুসলিম শাসক, সুফি সাধক এবং ধনী ব্যবসায়ী। এর পাশাপাশি ওয়াকফ সম্পত্তি দানকারীর তালিকায় রয়েছেন ধর্মগুরুরাও। তাঁরা আসলে মসজিদ, দরগা, মাদ্রাসা এবং সমাজকল্যাণের জন্য বিশাল সম্পত্তি দান করেছেন। ইসলামি আইনের আওতায় ধর্মীয় অথবা দানের উদ্দেশ্যে একচেটিয়া ভাবে সংরক্ষিত সম্পত্তি পরিচালনা করে ওয়াকফ বোর্ড। একবার কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে রেজিস্টার্ড হলে তা দানকারীর কাছ থেকে আল্লাহর নামে করে দেওয়া হয়। যার ফলে এটি অপরিবর্তনীয় হয়ে যায়।
এই সম্পত্তির আওতায় রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান এবং ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক ব্যবহারের জন্য মনোনীত অন্যান্য জমি। ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তি মূলত দান করেছেন মুসলিম শাসক, সুফি সাধক এবং ধনী ব্যবসায়ী। এর পাশাপাশি ওয়াকফ সম্পত্তি দানকারীর তালিকায় রয়েছেন ধর্মগুরুরাও। তাঁরা আসলে মসজিদ, দরগা, মাদ্রাসা এবং সমাজকল্যাণের জন্য বিশাল সম্পত্তি দান করেছেন। ইসলামি আইনের আওতায় ধর্মীয় অথবা দানের উদ্দেশ্যে একচেটিয়া ভাবে সংরক্ষিত সম্পত্তি পরিচালনা করে ওয়াকফ বোর্ড। একবার কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে রেজিস্টার্ড হলে তা দানকারীর কাছ থেকে আল্লাহর নামে করে দেওয়া হয়। যার ফলে এটি অপরিবর্তনীয় হয়ে যায়।
advertisement
3/10
ওয়াকফ শব্দটির উৎপত্তি আরবী শব্দ ‘ওয়াকুফা’ থেকে। যার অর্থ হল, ঈশ্বরের নামে উৎসর্গ করা কিছু অথবা জনকল্যাণের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ। ভারতে ওয়াকফ প্রশাসন মূলত স্বায়ত্তশাসিত, যেখানে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে এটিকে ব্যাপক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। আবার ভারতে ওয়াকফ আইন সাধারণত সংখ্যালঘুদের অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে এটি ইসলামি শাসনব্যবস্থার অধীনে পড়ে।
ওয়াকফ শব্দটির উৎপত্তি আরবী শব্দ ‘ওয়াকুফা’ থেকে। যার অর্থ হল, ঈশ্বরের নামে উৎসর্গ করা কিছু অথবা জনকল্যাণের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ। ভারতে ওয়াকফ প্রশাসন মূলত স্বায়ত্তশাসিত, যেখানে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে এটিকে ব্যাপক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। আবার ভারতে ওয়াকফ আইন সাধারণত সংখ্যালঘুদের অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে এটি ইসলামি শাসনব্যবস্থার অধীনে পড়ে।
advertisement
4/10
ভারতে ওয়াকফে শীর্ষ দানকারীদের মধ্যে রয়েছেন নিজামরা: ওয়াকফে নিজেদের পাবলিক ডোনেশনের জন্য উল্লেখযোগ্য হলেন হায়দরাবাদের নিজামরা। নিজাম শব্দটি এসেছে নিজাম-উল-মুলক থেকে। যার অর্থ হল রাষ্ট্রের শাসক। হায়দরাবাদে ছিলেন ১০ জন নিজাম। এঁদের মধ্যে প্রথম নিজাম হলেন মীর কামারুদ্দিন খান (১৭২৪ – ১৭৪৮) এবং শেষ নিজাম ছিলেন মীর ওসমান আলি খান। নিজাম-উল-মুলক আসফ জাহ সপ্তম উল্লেখযোগ্য ভাবে দাক্ষিণাত্যের হাজার হাজার একর জমি দান করেছেন।
ভারতে ওয়াকফে শীর্ষ দানকারীদের মধ্যে রয়েছেন নিজামরা: ওয়াকফে নিজেদের পাবলিক ডোনেশনের জন্য উল্লেখযোগ্য হলেন হায়দরাবাদের নিজামরা। নিজাম শব্দটি এসেছে নিজাম-উল-মুলক থেকে। যার অর্থ হল রাষ্ট্রের শাসক। হায়দরাবাদে ছিলেন ১০ জন নিজাম। এঁদের মধ্যে প্রথম নিজাম হলেন মীর কামারুদ্দিন খান (১৭২৪ – ১৭৪৮) এবং শেষ নিজাম ছিলেন মীর ওসমান আলি খান। নিজাম-উল-মুলক আসফ জাহ সপ্তম উল্লেখযোগ্য ভাবে দাক্ষিণাত্যের হাজার হাজার একর জমি দান করেছেন।
advertisement
5/10
মন্দিরে প্রচুর দান-ধ্যান: এর পাশাপাশি ইয়াদগিরিগুত্তা মন্দির, তিরুপতি মন্দির এবং অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের মতো বিশিষ্ট মন্দিরে উল্লেখযোগ্য ভাবে দান করেছেন নিজাম ওসমান আলি খান। দক্ষিণ ভারতে গোলকোণ্ডা এবং বিজাপুরের সুলতানরা উদার ভাবে মাদ্রাসা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করে গিয়েছেন।
মন্দিরে প্রচুর দান-ধ্যান: এর পাশাপাশি ইয়াদগিরিগুত্তা মন্দির, তিরুপতি মন্দির এবং অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের মতো বিশিষ্ট মন্দিরে উল্লেখযোগ্য ভাবে দান করেছেন নিজাম ওসমান আলি খান। দক্ষিণ ভারতে গোলকোণ্ডা এবং বিজাপুরের সুলতানরা উদার ভাবে মাদ্রাসা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করে গিয়েছেন।
advertisement
6/10
মুঘল রাজারাও দান করেছেন ওয়াকফে: সম্রাট আকবর, শাহজাহান এবং ঔরঙ্গজেবের মতো মুঘল শাসকরা দিল্লি, আগ্রা এবং হায়দরাবাদের ধর্মীয় স্থানের জন্য ওয়াকফ সম্পত্তিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে জমি দান করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, জাহানারা বেগমের মতো সাম্রাজ্যের বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্বরাও ওয়াকফকে প্রচুর সম্পত্তি দান করেছিলেন।
মুঘল রাজারাও দান করেছেন ওয়াকফে: সম্রাট আকবর, শাহজাহান এবং ঔরঙ্গজেবের মতো মুঘল শাসকরা দিল্লি, আগ্রা এবং হায়দরাবাদের ধর্মীয় স্থানের জন্য ওয়াকফ সম্পত্তিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে জমি দান করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, জাহানারা বেগমের মতো সাম্রাজ্যের বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্বরাও ওয়াকফকে প্রচুর সম্পত্তি দান করেছিলেন।
advertisement
7/10
সুফি সাধকদের অনুগামীরা ওয়াকফের ক্ষেত্রে কীভাবে অবদান রেখেছিলেন? হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (দিল্লি) এবং খোয়াজা মইনুদ্দিন চিস্তি (অজমেঢ়)-এর মতো সুফি সাধকের অনুগামীরা তাঁদের মাজারে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দান করেছিলেন। সালার মাসুদ গাজি (বাহরাইচ) এবং বাবা ফরিদ (পঞ্জাব)-এর দরগাহগুলিতে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল।
সুফি সাধকদের অনুগামীরা ওয়াকফের ক্ষেত্রে কীভাবে অবদান রেখেছিলেন? হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (দিল্লি) এবং খোয়াজা মইনুদ্দিন চিস্তি (অজমেঢ়)-এর মতো সুফি সাধকের অনুগামীরা তাঁদের মাজারে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দান করেছিলেন। সালার মাসুদ গাজি (বাহরাইচ) এবং বাবা ফরিদ (পঞ্জাব)-এর দরগাহগুলিতে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল।
advertisement
8/10
ধনী মুসলিম ব্যবসায়ী এবং জমির মালিকদের প্রধান অবদান: ধনী মুসলিম ব্যবসায়ী ও জমির মালিক এবং স্যার সৈয়দ মহম্মদ ও আহমেদাবাদের ভকিল পরিবারের মতো শিল্পপতিরা শিক্ষা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ওয়াকফ সম্পত্তি দান করেছেন।
ধনী মুসলিম ব্যবসায়ী এবং জমির মালিকদের প্রধান অবদান: ধনী মুসলিম ব্যবসায়ী ও জমির মালিক এবং স্যার সৈয়দ মহম্মদ ও আহমেদাবাদের ভকিল পরিবারের মতো শিল্পপতিরা শিক্ষা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ওয়াকফ সম্পত্তি দান করেছেন।
advertisement
9/10
উল্লেখযোগ্য দানকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আনসারি এবং উইপ্রো-র মালিক আজিম প্রেমজি। তাঁরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য ওয়াকফ সম্পত্তিতে অবদান রেখেছিলেন। দেওবন্দ এবং নদওয়াতুল উলামার মতো প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যথেষ্ট অনুদান পেয়েছিল।
উল্লেখযোগ্য দানকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আনসারি এবং উইপ্রো-র মালিক আজিম প্রেমজি। তাঁরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য ওয়াকফ সম্পত্তিতে অবদান রেখেছিলেন। দেওবন্দ এবং নদওয়াতুল উলামার মতো প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যথেষ্ট অনুদান পেয়েছিল।
advertisement
10/10
সারা দেশে ৯,৪০,০০০ একর জুড়ে থাকা ওয়াকফ বোর্ডের জমি ধর্মীয় ও সামাজিক কাজের জন্য আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। দিল্লি, হায়দরাবাদ, লখনউ এবং অজমেঢ়ে রয়েছে সবথেকে বেশি পরিমাণ ওয়াকফ সম্পত্তি। তবে ওয়াকফ জমির মালিকানা এবং ব্যবহার নিয়ে বিরোধ যেন থামতেই চাইছে না।
সারা দেশে ৯,৪০,০০০ একর জুড়ে থাকা ওয়াকফ বোর্ডের জমি ধর্মীয় ও সামাজিক কাজের জন্য আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। দিল্লি, হায়দরাবাদ, লখনউ এবং অজমেঢ়ে রয়েছে সবথেকে বেশি পরিমাণ ওয়াকফ সম্পত্তি। তবে ওয়াকফ জমির মালিকানা এবং ব্যবহার নিয়ে বিরোধ যেন থামতেই চাইছে না।
advertisement
advertisement
advertisement