বাদামি রঙের মাঝারি আকৃতির পাখি হল শালিক। আর এরা ভারতীয় ময়না (Indian Myna) নামেও পরিচিত। গ্রামবাংলার প্রকৃতির বুকে হামেশাই শালিক পাখির দেখা মেলে। শহরেও প্রায় সব জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায় এই পাখি ৷ শুধু তা-ই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও শালিক খুবই পরিচিত একটি পাখি।
আরও পড়ুন-পরোক্ষে ধূমপানেও নজিরবিহীন অসুস্থতা; দেশের অর্থনৈতিক বোঝার সমীক্ষা আতঙ্ক জাগাবে!
advertisement
অথচ এই শালিক পাখি নিয়েই খুবই প্রচলিত একটি সংস্কার মানুষের মনে কাজ করে। এক শালিক দেখার বিষয়টিকে অলক্ষুণে হিসেবেই গণ্য করা হয়ে থাকে। এমনকী জ্যোতিষেও বহু ক্ষেত্রেই মনে করা হয় যে, এক শালিক দেখা অশুভ। আর জোড়া শালিক দেখা মানেই শুভ লক্ষণ।
তবে বিজ্ঞান বলে এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা ৷ আধুনিক সমাজ একে কুসংস্কার বলে আখ্যা দিয়েছে। আসলে এর কোনও ভিত্তিই নেই। অন্যান্য কুসংস্কারের মতোই এটাও বহু সময় ধরে চলে আসছে। ধরে নেওয়া যাক, সকালে উঠে কেউ এক শালিকের দর্শন পেলেন, আর সেদিনই সেই ব্যক্তির সঙ্গে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটল। এবার সেখান থেকেই তিনি দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিয়ে ভাবলেন, এটা এক শালিক দেখার কারণেই হয়েছে। আর এভাবেই কুসংস্কার মনের গভীরে গেঁথে যাচ্ছে এবং সেটাই বহুল প্রচলিত রূপে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। অথচ বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি এগিয়ে গেলেও মানুষের মনে এই কুসংস্কারের বদ্ধমূল ধারণা রয়েই গিয়েছে। আর শুধু গ্রামীণ অঞ্চলেই নয়, শহরাঞ্চলের মানুষের মধ্যেও এই কুসংস্কার দেখা যায়।
আরও পড়ুন-পোষ্য বিষধর প্রাণের চেয়েও প্রিয়, সাপ নিখোঁজ হওয়ার দোষে বাগদত্তাকেই ঘাড়-ধাক্কা!
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে এসেছে এই কুসংস্কার? যদিও শালিক পাখির সঙ্গে শুভ-অশুভের আদৌ কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না অথবা এই প্রচলিত কুসংস্কারই বা কোথা থেকে এসেছে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য আমাদের হাতে আসেনি। তবে বহু প্রাচীন পুঁথিতে উল্লেখ রয়েছে যে, কিছু প্রাণী অথবা পাখির সঙ্গে মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। আসলে ভবিষ্যতে মানুষের জীবনে কী ঘটতে চলেছে, তা কখনওই জানা যায় না। তাই অজানা আশঙ্কায় মন সব সময় বিচলিত থাকতেই পারে। আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় এই সব কুসংস্কার!