আসলে লোহিত সাগরের নিচে বিছানো বেশ কয়েকটি সাবমেরিন ফাইবার অপটিক কেবল একসাথে কেটে গেছে। এই ঘটনা ঘটেছে শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ভারতীয় সময় অনুযায়ী সকাল ১১:৩০ টায় (UTC 05:45 AM)। এর ফলে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট এবং ফোন পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
এই কেবলগুলোর মাধ্যমে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপ একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। এখন ইন্টারনেট ট্র্যাফিকের বিকল্প রুট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবনে। বহু দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা হঠাৎ করে ইন্টারনেট সমস্যা, কল ড্রপ এবং ভিডিও কলিং-এ আওয়াজ কেটে যাওয়ার মতো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
advertisement
লোহিত সাগরের সংযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
এটি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট করিডোর। এই অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী ডজনেরও বেশি সাবমেরিন কেবল এশিয়া এবং ইউরোপকে সংযুক্ত করে। এই কারণেই যখনই এখানে কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তার প্রভাব সরাসরি কোটি কোটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পড়ে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তাই এখন জোর দেওয়া হচ্ছে যাতে ইন্টারনেট কেবলগুলোর জন্য বিকল্প রুট তৈরি করা হয়। যাতে এক জায়গায় সমস্যা দেখা দিলে পুরো ব্যবস্থা ধসে না পড়ে!
আরও পড়ুন- E20 পেট্রোল আপনার বাইকের কীভাবে ক্ষতি করতে পারে? কাদের সাবধান হতে হবে? জেনে রাখুন
দীর্ঘ দূরত্বে ডেটা পৌঁছতে গিয়ে যাতে সিগন্যাল দুর্বল না হয়ে যায়, সেই কারণে রিপিটার (Repeater) নামক ডিভাইস ব্যবহার করা হয়, যা সিগন্যালকে পুনরায় শক্তিশালী করে তোলে। এই কেবলগুলি সমুদ্রতলের নিচে বিছানো থাকে। তবে এগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জাহাজের নোঙর, মাছ ধরার যন্ত্রপাতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লোহিত সাগরের নিচ দিয়ে একসঙ্গে বহু ফাইবার অপটিক কেবল যায়। এই অঞ্চলকে ইন্টারনেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘চোকপয়েন্ট’ (bottleneck) বা সংকীর্ণ গলিপথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।