মোহালি: চারিদিকে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, পচা সবজি ও ছত্রাকে ধরা বাঁধাকপি, মশলায় কিলবিল করছে পোকা, শৌচাগারে ডাঁই করে রাখা বাসনকোসন – এভাবেই তৈরি হচ্ছে মোমো! আর এহেন দৃশ্য দেখার পর মোমো খেতে গিয়েও ঘেন্নায় গা গুলিয়ে উঠবে মোমো-প্রেমীদেরও!
আসলে সন্ধ্যার জলখাবারে মোমো কিংবা স্প্রিং রোল হলে সন্ধ্যাটা একেবারে জমে যায়। কিন্তু এহেন অস্বাস্থ্যকর ভাবে মোমো কিংবা স্প্রিং রোল তৈরির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে পঞ্জাবের মোহালিতে। সেখানকার মাতুর এলাকার একটি মোমো কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
advertisement
ওই অভিযানে দেখা গিয়েছে যে, পচা সবজি, ছত্রাক লাগা বাঁধাকপি এবং খারাপ তেল ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে দেদার মোমো। এখানেই শেষ নয়, আরও দেখা গিয়েছে, মোমো তৈরির মশলাতেও কিলবিল করছে পোকা। তখনও চমকের আরও বাকি ছিল। ফ্রিজ খুলতেই কোনও প্রাণীর বিশাল মাথা পাওয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি কারখানার ভিতর রাখা বাসনে কিছু পরিমাণ মাংসও পাওয়া গিয়েছে। ফলে গোটা এলাকায় হইচই পড়ে গিয়েছে। সমস্ত কিছু আপাতত বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
আসলে ওই কারখানা থেকে বেরিয়ে আসা বর্জ্য দেখেই সন্দেহ হয়েছিল এলাকার মানুষের। তাঁর যখন ভিতরে যান, তখন দেখেন যে, পরিস্থিতি বেশ জটিল। ময়লা আবর্জনার মধ্যেই তৈরি হচ্ছে মোমো স্প্রিং রোল। আর গোটা ঘটনার ভিডিও-ই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন এবং কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রশাসন যখন অভিযান চালায়, তখন দেখা যায় যে, কারখানায় যে বাঁধাকপি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা পুরোপুরি ভাবে ছত্রাকে ঢাকা। শৌচাগারে ছড়িয়ে রয়েছে ডাঁই করে রাখা বাসন। আর যে তেলে রান্না হচ্ছে, সেই তেল বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা এবং দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশেই তৈরি হচ্ছে মোমো আর স্প্রিং রোল। আর তারপর সেই মোমো-স্প্রিং রোল চলে আসছে গোটা শহরে।
আধিকারিকরা যখন ওই সন্দেহজনক কার্যকলাপের প্রসঙ্গে খবর পান, তখন তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং তদন্ত করেন। এরপর ফ্রিজে রাখা বড় পশুর মাথাটি উদ্ধার করে তাঁরা পরীক্ষার জন্য সেটিকে ভেটেরিনারি ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়েছিলেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই আরও সতর্ক হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এবং খাদ্য সুরক্ষা দফতর। কারখানায় তৈরি হওয়া খাবারদাবারও পরীক্ষা করে দেখা হবে। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। কারখানার মালিক এবং অন্যান্য কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।