ফ্রানে সেলাককে অনেকেই বলেন, পৃথিবীর ‘সবচেয়ে ভাগ্যবান’ মানুষ। ফ্রানে সেলাক ক্রোয়েশিয়ান। বিশ্বজুড়ে তিনি পরিচিত তাঁর অবিশ্বাস্য সৌভাগ্যের জন্য। তাঁর জীবনে যা ঘটেছে, তা যেন কোনও চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের মতো! বাস্তব জীবনের সীমা ছাড়িয়ে যায় সেই গল্প। বিশ্বাস করা কঠিন। তবে সেলাক নিজেই মনে করেন, বাস্তব সিনেমার চেয়েও অদ্ভুত।
এই সাধারণ মানুষটির জন্ম ১৯২৯ সালে, ক্রোয়েশিয়ায়। তিনি একজন সঙ্গীত শিক্ষক ছিলেন। তাঁর জীবন ছিল খুবই সাধারণ। বিবিসির মতে, ফ্রানে সেলাকে অবিশ্বাস্য সৌভাগ্য খেলা দেখাতে শুরু করে ১৯৫৭ সালে। একটি বাস দুর্ঘটনায় তিনি নদীতে পড়ে যান। এর পর তিনি জীবনে আরও ৬বার মৃত্যুর থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান।
advertisement
আরও পড়ুন- চন্দ্রবোড়া সাপ…! বর্ষায় উৎপাত বাড়ে! যদি কামড়ায় একবার, শরীরে কী হবে শুনলে কেঁপে উঠবেন
একবার ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে যায়, কিন্তু সেলাক প্রাণে বেঁচে যান। দুবার গাড়ি বিস্ফোরণেও তিনি প্রাণ হারাননি। একবার বিমান দুর্ঘটনায় আকাশ থেকে ছিটকে পড়েন একটি খড়ের গাদার উপর। প্রাণে বেঁচে যান সেবারও। একবার তিনি একটি খাড়াই থেকে গাড়ি নিয়ে পড়ে যান, কিন্তু একটি উঁচু গাছ তাঁকে রক্ষা করে।
এমনকি তিনি একটি বাসের ধাক্কা থেকেও ফিরে আসেন জীবনে। এত সব ঘটনার পর ভাগ্য তাঁর প্রতি শেষমেশ দয়া দেখায়। সেলাক এক মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ₹৮.৩৬ কোটি) লটারি জেতেন। তবে অবাক করার মতো বিষয় হল, তিনি তার প্রায় সব অর্থ পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে বিলিয়ে দেন।
‘Ripley’s Believe It or Not’ অনুযায়ী, ২০০০ সালের মাঝামাঝি সেলাক ক্রোয়েশিয়ায় লটারি জেতেন। তিনি সেই টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ি কেনেন। কিন্তু ২০১০ সালে সেই বাড়ি বিক্রি করে দেন। এর পর পঞ্চম স্ত্রীকে নিয়ে সাধারণ জীবনে ফিরে আসেন।
সেলাকের জীবনের শেষ অধ্যায় ছিল শান্তিপূর্ণ। তিনি লটারিতে জেতা টাকার কিছুটা খরচ করেন হিপ সার্জারিতে। একটি গির্জাও তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়।